নিজের গড়েই হারল আরাবুল ইসলাম! তৃণমূলকে হারিয়ে, প্রথমবার জয় পেল এই দল
নিজের গড়েই হারল
আরাবুল ইসলাম!
মুখ লুকিয়ে ছাড়ল
গণনাকেন্দ্র!
তৃণমূলকে হারিয়ে
প্রথমবার জয় পেল এই দল!
কি অবস্থা ভাঙরে?
প্রকাশ্যে এলো রিপোর্ট
পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই চর্চায় থেকেছে ভাঙর। বিরোধী আর শাসক দলের দড়ি টানাটানি চলেছে ভাঙরকে কেন্দ্র করে। শেষমেশ ভাঙরে জয় পেল তৃণমূল। তবে তৃণমূল জিতলেও, ভাঙড়ে নিজের খাস তালুকে হারলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। হ্যাঁ আরাবুল ইসলাম, যাকে ভাঙরে এক নামে চেনে। এত দাপট দেখিয়েও কার্যত কিছুই করতে পারেননি আরাবুল। হার ঘোষণা হতেই মুখ কালো করে বেরিয়ে যান আরাবুল। ভাঙড়ের পোলেরঘাট ২ নম্বর গ্রাম থেকে প্রার্থী হন আরাবুল। সেখানে জয় লাভ পেল জমি কমিটি। ২০১৬ সালে উত্থান হয় জমি কমিটির। সে বছর ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের সময় জমি, জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষার উদ্দেশ্যে গঠিত হয় এই কমিটি।
২০১৮ সালেও পোলেরহাটে যথেষ্ট দাপট দেখায়, জমি কমিটি। অবশ্য সেবার জিততে পারেনি তারা। জয় পায় তৃণমূল। ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮টি আসনে জিতে যায়। বাকি ৮টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে জমি কমিটি ও তৃণমূলের মধ্যে। সেই ৮টি আসনের মধ্যে পাঁচটি পায় জমি কমিটি। তৃণমূল জেতে ৩টি আসনে। ওই বছর ভোটে জিতে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে পারেননি, তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধানরা। তাদেরকে বাঁধা দেয় জমি কমিটির সদস্যরা। এরপর দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে দুই দলের মধ্যে। পরিস্থিতি বদলায় ২০২১ সালে। সে বছর ভাঙড়ে পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এরপরেই ভাঙরজুড়ে বাড়তে থাকে আইএসএফের দাপট। এই সময় দূরত্ব মিটিয়ে কাছাকাছি চলে আসে তৃণমূল ও জমি কমিটি। কিন্তু এখন আবার সমীকরণ ও সময় দুটোই পাল্টেছে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দু দলের সম্পর্কের কি পরিণতি হয়, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
Leave a Reply