তৃণমূল জিততেই তেঁতে গেলেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়! মমতার অসম্মান , দলের মানহানি নিশানায় কর্মী সমর্থকেরা!
তৃণমূল জিততেই তেঁতে গেলেন
বাবুল সুপ্রিয়!
দলের কর্মী সমর্থকদের দিলেন
কড়া দাওয়াই!
মমতা ব্যানার্জির অসম্মান
দলের মানহানি
বাবুকের কাঠগড়ায় কর্মী সমর্থকেরা!
হঠাৎ কি হল?
কেন এমন বললেন তিনি?
গ্রাম বাংলা জুড়ে আরও একবার উড়ল সবুজ আবির। রাজ্য জুড়ে মা মাটি সরকারের জয় জয়কার। বাংলার আকাশে বাতাসে শোনা যাচ্ছে মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ, দিদি জিন্দাবাদ। ঠিক এমন সময়ে দাঁড়িয়ে বড়সড় মন্তব্য করে বসেলেন তৃণমূলের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। যিনি আগে ছিলেন বিজেপিতে। সেখানে কাজ করতে না পারার অভিযোগে যোগ দেন তৃণমূলে। ভোটের ফলাফল বেরোনোর পরেই এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে আনন্দের সাথে সাথে মন খুলে বেশ কিছু ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। এদিন তার বলা প্রত্যেকটি লাইনই ছিল খুব তাৎপর্যপূর্ণ। যথেষ্ট ভাবনা চিন্তার জায়গা তৈরি করেছে বাবুলের কথাগুলো। তিনি দাবি করেছেন মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জির ভাবমূর্তি কলুষিত করার পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী নিচুতলার কর্মীরা। বিরোধীদের থেকেও তৃণমূল কর্মীদের তৈরি করা গণ্ডগোলের কারণেই শাসকদলের নাম কলঙ্কিত হয়। বাবুলের কথায়-
( লেখায় দেখাবে )
‘তৃণমূল এমনিতেই জিতত। যে সব জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে তার দরকার ছিল না!’
তিনি আরও বলেন-
( লেখায় দেখাবে )
‘প্রায় ৭০ হাজার বুথের মধ্যে যে ১০০টি বুথে গন্ডগোল হয়েছে, সেটাই সংবাদমাধ্যম বার বার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখাচ্ছে। এর জন্য আমি সংবাদমাধ্যমকে দোষ দিতে নারাজ। ৭০টি বুথের গন্ডগোলে যদি ৪০টি প্রাণ যায়, তা হলেও আমাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।’
নিচু তলার কর্মীদের টার্গেট করে বাবুল বলেন, এই গোটা পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের মুখ কালি পড়েছে শুধুমাত্র নিচু তলার মানুষগুলোর জন্য। এদের হৈ হট্ট গোলের জেরেই মানুষ মানণীয় মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জির বিরুদ্ধে সমালোচনা করার সুযোগ পায়।
বাবুলের কথায়,
( লেখায় দেখাবে )
‘মমতাদিদি এবং অভিষেক, যাঁরা অত্যন্ত দৃঢ় ভাষায় বার বার সাবধান করেছিলেন যে, এ সব বরদাস্ত করা হবে না৷ এতে তাঁদের গায়ে কাদা ছেটানোর সুযোগ পেয়ে যায় বিরোধীরা। বিরোধীরা চায় গন্ডগোল হোক এবং তৃণমূল কলুষিত হোক।’
পাশাপাশি তিনি বার্তা দেন-
( লেখায় দেখাবে )
‘আমাদের নীচের তলার কর্মীদের বুঝতে হবে যে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে প্রকল্পগুলি চালু করেছেন তাতে মানুষ খুশি। এমনিতেই তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দিতেন। এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করার দরকারই ছিল না।’
অর্থাৎ বাবুল মনে করছেন, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাই এমন কিছু কাজ করেছেন যার ফলে মমতা ও অভিষেক সম্পর্কে জনমানসে ‘বিরূপ’ ধারণা তৈরি হচ্ছে। যা নিয়ে তিনি বেজায় অসন্তুষ্ট।
সেই সাথে বিজেপিকেও কটাক্ষ করতে ভুলেননি তিনি। বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিকেও নিশানা করে টুইট করেন-
( লেখায় দেখাবে )
‘বাংলার মানুষ খুব জোরালো ও স্পষ্টভাবে মত দিয়েছে। বিভাজনের রাজনীতির মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছে’
Leave a Reply