জানেন সোমবারে কেন সবচেয়ে বেশি হার্ট অ্যাটাক হয়, জানেন পিছনের কারণ ঠিক কী?
জানেন সোমবার কেন বাড়ে
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি?
হার্টের রোগীদের জন্য কেন
এত মারাত্মক ডিসেম্বর মাস?
এত দিন, এত মাস থাকতে
এই সময়গুলোকে কেন টার্গেট করা হল!
সামনে এলো কালো সত্য
যা না জানলেই নয়
এক নিমেষে প্রাণ কেড়ে নেয় হার্ট এটাক। মানুষের কাছে আজকাল যমের সমান এই দুটি শব্দ। গোটা বিশ্বেই হার্ট এটাকের ঝুঁকি বেড়েছে। এই রোগের হাত থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকুন সোমবারগুলোতে। কারণ সোমবারে হার্ট এটাক সবচেয়ে বেশি হয়। নাহ এই দাবি বাংলা হান্টের নয়। এমন দাবি সামনে এনেছে স্কটল্যান্ডে একটি সমীক্ষা। তাদের সমীক্ষা রিপোর্ট থেকেই প্রকাশ্যে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক হার্ট এটাকের রোগীর ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে আসছে এই সংস্থাটি। এরা এমন কিছু অজানা তথ্য সামনে এনেছে যা না জানলেই পস্তাবেন।
সোম বার হার্ট এটাক বেশি হয় কেন?
দীর্ঘদিন সমীক্ষা চালিয়ে জানা যাচ্ছে, সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে প্রথম দিন সোমবার হার্ট এটাক বেশি হয়। সবচেয়ে কম হার্ট এটাক হয় শনিবার। তাদের দাবি সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন, এদিন মানুষের মধ্যে অনেক বেশি স্ট্রেস কাজ করে। মানুষ অত্যাধিক চাপ নেয়। ফলে হার্ট এটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেলে হার্ট এটাকও হয়ে যায়। তাই সোমবারকে ‘মানডে ব্লুজ’ বলা হয়। সোমবার একজন মানুষের মাথায় বাড়তি চাপ ও চিন্তা থাকে। নেতিবাচক ভাবনা ও দুর্বলতা বাড়তে থাকে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, রবিবার মানুষ সারা দিন হৈ হুল্লোড় করে দিন কাটায়। এরপর রাতে যখন সোমবারের কথা চিন্তা করে তখনই বেড়ে যায় হার্ট বিট। ধীরে ধীরে চাপ বাড়তে শুরু করে। অনেকের ক্ষেত্রে চাপ এতটাই বেশি হয় যে, তাঁদের হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়। একে হলিডে সিন্ড্রোম বলা হয়। শহুরে কর্মজীবীদের এটা বেশি হয়। গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। তাই সোমবার সতর্ক থাকার কথা বলা হচ্ছে। আবার শনিবার হার্ট এটাকের রেট কম। ওই দিন মানুষ অনেক রিলেক্স থাকে।
কোন মাসে সবচেয়ে বেশি হয় হার্ট অ্যাটাক?
গবেষণায় দেখা গেছে ডিসেম্বর মাসেই হার্ট এটাকের রেট অনে বেশি। ডিপ্রেশনের মাস ডিসেম্বর মাসেই হার্ট এটাকের প্রবণতা অনেক বেশি। অন্যদিকে জুলাই মাসে হার্ট এটাকের রেট সবচেয়ে কম। এর নেপথ্যে অত্যাধিক চিন্তাকেই দায়ী করা হচ্ছে।
হার্ট এটাক থেকে বাঁচার উপায়?
চিকিৎসকদের মতে, হার্ট এটাক থেকে বাঁচার একটাই উপায়, সেটা হল অতিরিক্ত চিন্তা দূর করা। চাপ মুক্ত থেকে ফুর ফুরে মেজাজে কাজ সারা। কাল কি হবে সেই ভাবে একগাধা স্ট্রেস বাড়ানো মানেই হার্ট এটাক ডেকে আনা। সেই সাথেই সুস্থ ও সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করা।
Leave a Reply