ভোটের ডিউটি ফেলে টিকটক-রিলসে ব্যস্ত পুলিশ কর্মী! কাজ না করে রং তামাশা, রেগে কাঁই আমজনতা

ভোটের ডিউটি ফেলে টিকটক-রিলসে ব্যস্ত পুলিশ কর্মী! কাজ না করে রং তামাশা, রেগে কাঁই আমজনতা

ভোটের ডিউটি ফেলে
টিকটক-রিলসে ব্যস্ত পুলিশ কর্মী!

ঠোঁট নাড়িয়ে, চোখ উঁচিয়ে
বানাচ্ছেন গানের ভিডিও!

কাজ না করে, রং তামাশা!
ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই
রেগে কাঁই আমজনতা!

তখনও চলছে ভোটের ডিউটি। কিন্তু সেখানে মন নেই পুলিশ কর্মীর। বরং দায়িত্ব ছেড়ে টিকটক করাটাই তখন প্রধান কাজ। তাই ভোট পরিচালনার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ শিকেয় তুলে, ধর্মীয় গানে টিকটক বানাচ্ছেন ভোটে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মী। এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা পুলিশ কর্মী, যার পরনে ছিল রাজ্য পুলিশের ইউনিফর্ম। সাথে লাগানো রয়েছে নাম। কপালে সিঁদুর। কাঁধে হাতিয়ার। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভোট কেন্দ্রে সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে তিনি। অথচ দায়িত্ব পালন না করেই তিনি দেদার টিকটক, রিলস বানাচ্ছেন। যা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষেপে লাল আমজনতা।

চলতি বছর পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গের হাওয়া গরম। যেখানে ভোট মানেই উৎসব। ভোট মানেই গণতন্ত্রের উদযাপন। কিন্তু বাংলায় এসে বদলে গেছে এই ধারণা। ইদানিং বাংলায় ভোট মানেই চূড়ান্ত অশান্তি, গোষ্ঠী দন্দ, প্রাণহানি। চলতি বছর পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই অর্থাৎ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই রাজ্য জুড়ে অশান্তির পরিবেশ। আর তাই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়েই সম্পন্ন হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্য পুলিশ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নিরাপত্তার খামতি ছিল না। শুধুমাত্র সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে এত এত প্রস্তুতি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ওই পুলিশ কর্মীর দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ছাপ্পা ভোট, ব্যালট চুরি, ব্যালট বাক্স ভাংগচুর, গোষ্ঠীদন্দ আরও অনেক অঘটন ঘটেছে। এই ঘটনাগুলো যাতে না হয় সেই কারণেই রাখা হয় বাড়তি পুলিশ। তবুও অশান্তি ঠেকানো যায়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে, মহিলা পুলিশটির কাণ্ড ভোট পর্বের বিশৃঙ্খলার পেছনে পুলিশে দায়বদ্ধতাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। ভিডিও দেখেই অনেকেই আশাহত। কেউ কেউ ওই কর্মীকে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করেছেন, তো কেউ আবার বলছেন তিনি কি কালী পূজোর প্যান্ড্যালে গিয়েছেন! মহিলা পুলিশটি কোন বুথে দায়িত্বরত ছিলেন, কি নাম তার সেই তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *