কেদারনাথ মন্দিরে রয়েছে ৬টি অবাক করা বৈশিষ্ট্য, যা শুনলে আজও চুপ করে থাকে বিজ্ঞান
কেদারনাথ মন্দিরে রয়েছে
কিছু অবাক করা বৈশিষ্ট্য
যা অবিশ্বাস্য হলেও প্রকৃতপক্ষে সত্যি
নিজের চোখে না দেখলে
অনেকে বিশ্বাসও করতে পারে না
এই রহস্য গুলোর কাছে হার
মেনেছে বিজ্ঞানও
আজও মেলেনি কোনও ব্যাখা
কেদারনাথে মহাদেবের ছায়া
মধ্য রাতে তাণ্ডব নাচের মাহাত্ম্য
শুনলে গায়ে কাটা দেবে আপনারও
এক, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও সুরক্ষিত কেদারনাথঃ উত্তরা খণ্ডে প্রায়শই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা শোনা যায়। বিশেষ করে ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডে ঘটে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্য। সে সময় ভয়ংকর বৃষ্টিতে বন্যা এবং ভূমিধসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে সম্পূর্ণ কেদারনাথ এলাকা ধবংস হয়ে যায়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও শুধুমাত্র কেদারনাথ মন্দির ছিল সম্পূর্ণ অক্ষত। যেন কোনও ঐশ্বরিক শক্তি মন্দিরটিকে রক্ষা করছে।
দুই, কেদারনাথ পাহারা দেয় ভৈরনাথ জিঃ উত্তরাখণ্ডের একজন জাগ্রত দেবতা হলেন ভৈরনাথ জি। সেখানকার স্থানীয়দের বিশ্বাস, ভৈরনাথ জি কেদারনাথ মন্দিরটিকে সর্বদা রক্ষা করেন। যাতে কোনও অশুভ শক্তি কেদারনাথকে নষ্ট করতে না পেরে, সেই জন্য তিনি সজাগ থাকেন। ভৈরনাথ জিকে মহাদেবের অবতার মানা হয়।
তিন, কেদারনাথের পুরোহিতঃ কেদারনাথ মন্দিরে যারা পূজো করেন তারা উচ্চ বর্ণের ব্রাক্ষ্মণ হয়ে থাকেন। মহাদেবকে সন্তুষ্ট করার জন্য তাদের যথেষ্ট পারদর্শী হতে হয়। কেদার নাথ মন্দিরে পুজোর কাজে নিযুক্ত হওয়ার আগে পুরোহিতদের বিশেষ ট্রেনিং নিতে হয়। তাদেরকে সমস্ত দিক দিয়েই অভিজ্ঞ সম্পন্নহতে হয়।
চার, রুদ্র গুহাঃ কেদার নাথের কাছেই রয়েছে রুদ্র গুহা। বিশ্বাস করা হয় এই গুহায় বসে সাধনা করলে মনের সমস্ত ইচ্ছে সফলতা লাভ করে। এই গুহায় অলৌকিক শক্তি কাজ করে বলে মানা হয়।
পাঁচ, কেদারনাথ জ্যোতির্লিঙ্গের তাৎপর্যঃ কেদারনাথে যে জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে সেটি ভারতের সবচেয়ে বড় জ্যোতির্লিঙ্গ। বিশ্বাস করা হয় যে, ভক্তদের দু হাত তুলে আশীর্বাদ দিতেই মর্তে এসে কেদারনাথে জ্যোতির্লিঙ্গ হিসেবে বসবাস করতে শুরু করেন দেবাদিদেব।
ছয়, কেদারনাথের উপর দিয়ে কেউ যায় নাঃ কেদার নাথের উপর দিয়ে কোনও পাখি কিংবা প্ল্যান কিছুই যায় না। গেলেই নাকি এগুলো আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনটাই ধারণা স্থানীয়দের। কেদার নাথ পাহাড়ে কি আছে, সেটা দেখার চেষ্টা কেউ করেন না। কেন এত রহস্য কেদার নাথের চূড়ায় তার ব্যাখ্যা বিজ্ঞানও জানে না।
Leave a Reply