জানেন কে এই আব্বাস সিদ্দিকী? যাকে দেখলেই ঘুম উড়ে যায় তৃণমূল বিজেপির, কীভাবে উঠে এলেন তিনি? কোথায় পেলেন এত শক্তি?
জানেন কে এই আব্বাস সিদ্দিকী?
আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা
নওশাদ সিদ্দিকীর দাদা
যাকে দেখলেই ঘাম ছোটে
তৃণমূল বিজেপির!
ভয়ে শিউরে ওঠে
আরাবুল – শওকত!
যার এক ডাকে ছুটে আসে
লাখ লাখ মানুষ!
কীভাবে উঠে এলেন তিনি?
কোথায় পেলেন এত শক্তি?
বঙ্গ রাজনীতিতে উল্কা গতিতে উত্থান আব্বাস সিদ্দিকীর। বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে প্রায়শই শোনা যায় এই নাম। তবে ২০২১ সালের আগে সেভাবে কেউ চিনত না আব্বাস সিদ্দিকীকে। বরং ২০২১ সালের বিধান সভা ভোটের সময় থেকেই বাংলা জুড়ে পরিচিতি পায় এই মানুষটি। বাংলার সংখ্যালঘু সমাজের মাঝে রাজা হয়ে ওঠেন আব্বাস সিদ্দিকী। সময় যত এগোতে থাকে, ততই বাড়তে থাকে আব্বাসের জনপ্রিয়তা। এক সময় ধর্মগুরু থেকে হয়ে ওঠেন রাজনৈতিক নেতা। যাকে নিয়ে চিন্তায় থাকে তৃণমূল-বিজেপি।
আব্বাস সিদ্দিকীর পারিবারিক পরিচয়-
আব্বাস সিদ্দিকী ফুরফুরা শরিফ দরবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম তীর্থক্ষেত্র হল ফুরফুরা শরিফ। এই ফুরফুরা শরিফের ছোট হুযুর পীর জুলফিকার আলির নাতি আব্বাস সিদ্দিকী। তার বাবার নাম পীরজাদা আলি আকবর সিদ্দিকী। আব্বাসের ছোট ভাই নওশাস সিদ্দিকী। যার দাপটে কাঁপছে গোটা বাংলা। দাদা আব্বাস সিদ্দিকীর মতন তিনিও যথেষ্ট আলোচিত। দাদার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই এগোচ্ছেন তিনি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা-
আব্বাস সিদ্দিকী থিওলজিতে এম.এ করেছেন। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এম.এ সম্পন্ন করেন। ছোট বেলা থেকেই আব্বাস সিদ্দিকী ছিলেন কিছুটা আলাদা প্রকৃতির। সব সময় অন্যের উপকারের কথা চিন্তা করতেন। জাত, ধর্ম ভুলে গিয়ে সবার বিপদে এগিয়ে আসতেন তিনি।
রাজনীতিতে উত্থান-
পড়াশুনো শেষ হওয়ার পরেই রাজনীতিতে আসেন তিনি। তবে তার রাজনীতিতে আসাটা পরিকল্পনা করে নয়। প্রথম দিকে তিনি ধর্মীয় সভায় ভাষণ দিতেন। তিনি একজন গোঁড়া মুসলিম হলেও, মানসিকভাবে অনেক আধুনিক ও দূরদর্শী মনস্ক। ভাষণের মধ্যে দিয়ে যুব সমাজের কল্যাণ সাধনের চেষ্টা করতেন। এভাবেই বাড়তে থাকে আব্বাস সিদ্দিকীর জনপ্রিয়তা। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে আব্বাসের নাম। তার নাম হয়ে যায় ভাইজান। তার আলোচনার বিষয় বস্তুতে ঠাঁই পেতে থাকে রাজনৈতিক খবরাখবর। আব্বাসের মুখে শোনা যায় সংখ্যা লঘু ও পিছিয়ে পড়া জাতির কল্যাণের কথা। আব্বাস সিদ্দিকীকে গোটা বাংলা চিনতে শুরু করে। মানুষ তাঁকে আরও বেশি জানতে শুরু করে ২০১৯ সালে। যখন সিএএ অর্থাৎ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। তখনই এই আইনের কঠোর বিরোধীতা করেন আব্বাস সিদ্দিকী। এরপরই পাকাপাকিভাবে মাঠে নামেন তিনি। ২০২১ সালের বিধান সভা ভোটের সময় আগুন ঝরানো ভাষণ দেন আব্বাস। যা সকলেরই নজর কাড়তে শুরু করে। আব্বাস সিদ্দিকীর ভাষণে এত লোক হয় যা টিএমসি, বিজেপির ভাষণেও হয় না। মানুষ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শোনে আব্বাসের প্রতিটি বক্তৃতা।
আইএসএফ প্রতিষ্ঠা-
আব্বাস সিদ্দিকীর হাত ধরে জন্ম নেয় আইএসএফ অর্থাৎ ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নামক রাজনৈতিক দল। এর হাতে ধরে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় আব্বাস সিদ্দিকী। আইএসএফ কেবল মুসলিমদের জন্য নয় সমস্ত পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করে। কাজ ও আদর্শের কারণে আইএসএফ এতটাই শক্তিশালী যে, যা শাসক শিবিরের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আব্বাস সিদ্দিকীর লক্ষ্য-
আব্বাস সিদ্দিকী একটাই লক্ষ্য পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে আনা। এভাবেই বাংলার রাজনীতিতে নতুন শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে আব্বাস সিদ্দিকী ও তার দল আইএসএফ। যা ক্রমশ এগিয়ে চলেছে।
Leave a Reply