ভোটে মালামাল সিভিক ভলান্টিয়াররা!
ভোটে মালামাল
সিভিক ভলান্টিয়াররা!
ডিউটি দিলেই
মোটা অঙ্কের ভাতা!
সিভিকদের লোভ দেখিয়ে
লাগানো হচ্ছে কাজে!
আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
পুলিশ সেজে ভোটে কেন্দ্রে দাদাগিরি!
টুইট প্রকাশ্যে আসতেই
হূলস্থল কাণ্ড!
পঞ্চায়তে ভোটের শুরুতেই হাই কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ – ভোট সুরক্ষায় কোনও ভাবেই কাজে লাগানো যাবে না সিভিক ভলান্টিয়ারদের। কিন্তু হাই কোর্টের নির্দেশ একেবারেই মানা হচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে, সিভিক পুলিশদের খাঁকি উর্দি পরিয়ে পুলিশ সাজানো হচ্ছে। এরপর তাদের পাঠানো হচ্ছে ভোট সুরক্ষার দায়িত্বে। এমন অভিযোগ সাধারণ মানুষেরাও যেমন করছে, তার পাশাপাশি বিরোধীরাও এই বিষয়ে সরব হয়েছেন। এবার ভোটের কাজে সিভিকদের ব্যবহারের প্রমাণ উঠে এলো এক ব্যক্তির টুইট থেকে।
যেখানে তিনি একটি ছবি সামনে এনেছেন। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ভোটের দুদিন ডিউটি করলেই পাবে ৭০০ টাকা ভাতা। সঙ্গে টিফিন এলাওয়েন্স বাবদ পাবে আরও ৩০০ টাকা। অর্থাৎ দুদিনে পাবেন মোট ১০০০ টাকা। আবার গণনার দিন পাবে মোট ৪০০ টাকা। হাই কোর্টের নির্দেশ থাকা স্বত্তেও এভাবেই সিভিকদের কাজে লাগাচ্ছে শাসক দল। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের ইন্সপেকটর জেনারেলকে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বহু আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছেন, রাজ্য সরকার সিভিকদের পুলিশ সাজিয়ে বুথে পাঠাচ্ছেন। শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্য়মের সামনে দাবি করেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুলিশ সাজানোর জন্য বীরভূমে সাড়ে তিন হাজার পুলিশের উর্দি অর্ডার দেওয়া হয়েছে। যাতে করে আইনের চোখে ধুলো দিয়ে সিভিকদের পুলিশ সাজানো যায়। এভাবেই নাকি ভোটে জেতার ছক কষছে তৃণমূল।
এদিকে সিভিক ভলান্টিয়াররা কি কি কাজ করতে পারবে সেই সম্পর্কে আগেই বিধান দিয়েছে হাই কোর্ট। আদালতের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের এক্তিয়ারের নয়া নির্দেশিকা। নির্দেশিকায় কি বলা হয়েছে দেখুন এক নজরে-
১) সিভিক ভলেন্টিয়ারদের প্রধান কাজ থাকবে রাস্তায় যানজট নিয়ন্ত্রণ করা। ট্রাফিক কন্ট্রোলের জন্য পুলিশকে সব রকমভাবে সহযোগিতা করা।
২) সিভিক ভলেন্টিয়াররা অযথা আমজনতাকে হেনস্থা করতে পারবে না। কোনও রকম দাদাগিরি করতে পারবে না।
৩) কোন বড় উৎসব কিংবা অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সিভিক ভলেন্টিয়াররা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে সাহায্য করবে।
৪) শহরে কোথাও বেআইনি পার্কিং থাকলে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সিভিক ভলেন্টিয়াররা পুলিশকে সহযোগিতা করবে।
৫) জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এবং সাধারণ মানুষদের সাহায্যের ক্ষেত্রে সিভিক ভলেন্টিয়াররা পুলিশকে সহযোগিতা করবে।
Leave a Reply