ফুচকার লোভ দেখিয়ে ভোট টানছে তৃণমূল! জোড়াফুলে ভোট দিলেই মিলছে বিনাপয়সার ফুচকা, তৃণমূল নেতার কাণ্ডে হূলস্থুল এলাকায়
ফুচকার লোভ দেখিয়ে
ভোট টানছে তৃণমূল!
বুথের বাইরে ফুচকার স্টল!
হাতে হাতে, মুখে মুখে
জলে ভরা মুখরোচক ফুচকা!
জোড়াফুলে ভোট দিলেই মিলছে
বিনাপয়সার ফুচকা!
তৃণমূল নেতার কাণ্ডে
হূলস্থুল এলাকায়
ভোটের দিন সকাল থেকেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে স্থানীয়রা! কিন্তু এই লাইন ভোট দেওয়ার জন্য নয়। স্থানীয়রা লাইনে দাঁড়িয়েছেন ফুচকা খাওয়ার জন্য। হাতে ভোটের স্লিপ নয়, বরং ফুচকা খাওয়ার পাতা নিয়ে একে একে মুখে ভরছেন টক জল মাখানো মুখরোচক ফুচকা! তৃণমুলে ভোট দিলেই বিনামূল্যে মিলছে এই ফুচকা। শুধু মাত্র জোড়াফুলে ছাপ দিলেই ভাগ্যে জুটছে ফুচকা। ভোট কেন্দ্রের বাইরেই বড় করেই বসানো হয়েছে ফুচকার স্টল। যেখানে পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই রাজ্যজুড়ে যুদ্ধ যুদ্ধ রব,সেখানে এমনই বিচিত্র দৃশ্য ধরা পড়ল দক্ষিণ বারাসতের ১৬ নং বুথে। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দর মহলে।
তথ্য সূত্রে খবর, দক্ষিণ বারাসতের ১৬ নং বুথের শাসকদলের প্রার্থী এহেন কাণ্ড করেছেন। তিনি জোড়াফুল চিহ্নে ভোট পাওয়ার আশায়, ভোটারদের মুখরোচক ফুচকা খাওয়ানোর লোভ দেখান। ভোটারদের মন জয় করতে, ভোট কেন্দ্রের বাইরে বসান ফুচকার স্টল। সেখানেই রাখেন মুচ মুচে মুখরোচক ফুচকার আয়োজন। যেমন তেমন নয়, একেবারে ভালো মানের ফুচকা। কুড়কুড়ে আওয়াজে, মশলা মেশানো আলু মাখা সঙ্গে কাগজি লেবুর টক জল ভরে ফুচকা খেতে দেখা যায় ভোটারদের। ভালো ভিড় জমে স্টলের সামনে।
এমন ঘটনা সামনে আসতেই, শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। ওই বুথেরই সিপিএম প্রার্থী অশোক নস্কর ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন-
“তৃণমূল সঠিক উপায়ে জিততে পারবে না তাই লুঠ, সন্ত্রাস করে মানুষকে লোভ দেখিয়ে ভোট করছে। কখনও বলছে লক্ষীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে, কখনও বলছে স্বাস্থ্যসাথী বন্ধ হয়ে যাবে। আর এখানে বিনা পয়সায় ফুচকা খাইয়ে ভোট লুঠ করতে চাইছে। তবে সাফল্য পাবে না। এই নিয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ করবো।”
অন্যদিকে বিজেপির মন্তব্য-
“হয়তো এটা একটা পরিষেবা দিচ্ছে। তবে কিছুই লাভ হবেনা। ওদের এটাই নীতি। ৫ বছরে তো কিছু দেয়নি। ওদের এটাই নিয়ম ওরা ভোটের সময় খাওয়াবে। তবে ফুচকা তো আর ওদের পার্টির পয়সায় খাওয়াচ্ছে না, খাওয়াচ্ছে তোলার টাকায়।”
তবে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি বেশ প্রশংসা কুড়চ্ছে। কারণ ভোট ভঙ্গে মনোনয়ন ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। প্রাণহানি, গোষ্ঠী দন্দ, হাতাহাতি কোনও কিছুই বাদ নেই। সেখানে দাঁড়িয়ে, দক্ষিণ বারাসতের ১৬ নং বুথের এই চিত্র সত্যি এক অনন্য নজির গড়েছে।
Leave a Reply