সামান্য পান বিক্রেতা থেকে ‘যাদবপুরের ডন’ সায়নীর বাবা! বিপুল সম্পত্তির মালিক, কিছু না করেই, রাতারাতি কীভাবে হলেন এত বড়লোক?
সামান্য পান বিক্রেতা থেকে
‘যাদবপুরের ডন’ সায়নীর বাবা!
প্রভাবশালী ব্যক্তি!
বিপদে পড়লেই
উদ্ধার করেন তিনি!
এক নামে চেনে তাকে!
গলায় মোটা সোনার হার
চোখে কালো চশমা
বিস্তর সম্পত্তির মালিক
রাতারাতি কীভাবে হলেন এত বড়লোক?
তাও কিছু না করেই!
কোথায় পেলেন কাড়ি কাড়ি টাকা?
কালীঘাটের কাকু, অভিষেকের পর ইডির নজরে সায়নী ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা নয় ছয়ের পেছনে সায়নীর হাত রয়েছে মনে করছে তদন্ত আধিকারিকেরা। এছাড়াও সায়নীর বিরুদ্ধে ইডির হাতে একাধিক তথ্য জমা পড়েছে। সায়নীকে নিয়ে টানা পোড়নের মাঝেই এবার আলোচনায় উঠে এলো সায়নীর বাবার নাম। তিনি এখনও ইডির নজরে না এলেও, আমজনতার মুখে মুখে ঘুরছে সায়নীর বাবার নাম। মেয়ে সায়নীর হাব ভাবে যেমন ভরপুর আত্মবিশ্বাস, সেই দিক থেকে কম যান না সায়নীর বাবা। নাম সমর ঘোষ। নিজেকে ডন বলেই পরিচয় দেন তিনি। মেয়ের মতই কথা বলেন চোখা চোখা ভাষায়। সায়নীর বাবাকে সেভাবে কখনও লাইমলাইটে দেখা যায়নি। দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চেই প্রথম দেখা যায় তাকে। সেখানেই এমন এমন কথা তিনি বলেছেন যা হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও।
টিএমসি নেত্রী সায়নীর বাবা নাকি যাদবপুরের ডন। অন্তত এমনটাই দাবি করেন সমর বাবু। তিনি বলেন যাদবপুরের রণে বনে জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পড়বে তাকে স্মরণ করতে। দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চেই তিনি নিজেকে প্রভাবশালী বলে দাবি করেন। বাবার সাথেই একমত মেয়ে সায়নী। তিনিও জানান তার বাবা আগাগোড়া ডন গোচরেরই একজন মানুষ। অবশ্যই সমর বাবুকে দেখতে তেমনটাই লাগে। দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে তাকে দেখা গেছে, গলায় মোটা মোটা সোনার চেন পড়ে আসতে। সঙ্গে বেশ ভূষণেও ছিল বেশ একটা হিরো হিরো ভাব। চোখে আবার রোদ চশমা।
রচনার সামনেই সায়নী জানান, তার বাবাকে যাদবপুরের সকলেই চেনে। এক নামে চেনে। কীভাবে এত জনপ্রিয় হল সায়নীর বাবা! একবার এক প্রোমোটারকে প্রাণে বাঁচান সমর বাবু। সেই প্রোমোটর খুশি হয়ে সায়নীর বাবাকে ভালোবেসে বুকে জড়িয়ে নেন। সেই সাথেই তিনি সায়নীর বাবাকে বলেন, তিনি নাকি সায়নীদের পুরো পরিবারকে দেখে নেবেন বলেও আশ্বাস দেন। বাস্তবেও তাই হয়। পাশাপাশি ওই ব্যক্তি সায়নীর বাবাকে আরও বলেন- সায়নীর বাবাকে কোনও চাকরি করতে হবে না। তিনি নাকি অন্যের টাকায় বড়লোক হবেন। এমনকি তাই হয়, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় নেমে ফুলেফেঁপে ওঠেন অভিনেত্রীর বাবা। তবে প্রথম জীবনে সায়নীর বাবা ছিলেন একজন পান বিক্রেতা। পান বিক্রি করেই সংসার চালাতেন। সেখান থেকে কিভাবে এই উত্থান! উঠছে বিস্তর প্রশ্ন! সায়নীর বাবার নামেও বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সায়নীর বাবা কোনও ভাবে যুক্ত কি না, সেই নিয়েও উঠছে বিস্তর প্রশ্ন! সায়নীর সাথে ইডির র্যাডারে যে কোনও মুহূর্তে ঢুকে পড়তে পারে সায়নী ঘোষের বাবাও।
Leave a Reply