জানেন সায়নী ঘোষের চোখা চোখা ভাষণ লেখেন কে? নিজে নিজে তৈরি করেন, নাকি অন্য কেউ?

জানেন সায়নী ঘোষের চোখা চোখা ভাষণ লেখেন কে? নিজে নিজে তৈরি করেন, নাকি অন্য কেউ?

জানেন সায়নী ঘোষের চোখা চোখা
ভাষণ লেখেন কে?

নিজে নিজে তৈরি করেন
নাকি অন্য কেউ?

সুন্দর, সুচারু, দক্ষ ভাষণ
মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শোনে প্রতিটি শ্রোতা
ছাপিয়ে যায় মমতাকেও

কীভাবে তৈরি হয় যুবনেত্রীর বক্তৃতা?
আছে কি কোনও ভাষণ লেখক?
কত টাকা বেতন পান তিনি?

সুবক্তা হিসেবে বরাবরই পরিচিত তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচী থেকে শুরু করে সভার ভাষণে লোকজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনে সায়নীর ভাষণ। রাজনৈতিক বিশিষ্টদের মতে, অসম্ভব সুন্দর বাচনভঙ্গির জন্যই তিনি তৃণমূলের যুব নেত্রী হয়ে উঠতে পেরেছেন। কথা বার্তায় যেমনি স্মার্ট তেমনি চালু। তৃণমূলের চরম বিরোধীদেরও মনোযোগ কেড়ে নেয় তার বক্তৃতা। কখনও তিনি তির্যক মন্তব্য দিয়ে বিরোধীদের খোঁচা মারেন, তো কখনও আবার আদর মাখা বুলি আউরে বিরোধীদের ফিদা করেন। সায়নীর ভাষণ দেওয়ার ভঙ্গি অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কথা বলার সময় কখন কখনও মা, বোনেদের আলাদা করে সম্বোধন করতে দেখা যায়। ফলে অনেক বেশি নজর কাড়ে তার বক্তৃতা। ট্রেণ্ডিং থাকে কথা বলার ধরন। তৃণমূলে আরও অনেক নেত্রী রয়েছে তাদের থেকেও সায়নীর বাচন ভঙ্গি অনেক বেশি তুখোড় বলে মানা হয়। এমনকি মমতা ব্যানার্জিকেও ছাপিয়ে যায়। সায়নীর প্রত্যেকটা ভাষণের মধ্যে একটা বৈচিত্র্য থাকে। তার নিজস্ব কথা বলার ভঙ্গি শ্রোতাদের সাথে তার একটি আলাদা ইমেজ তৈরি করেছে। কঠিন বক্তৃতা সহজ ভাবে বলার জন্য সায়নীর একটা আলাদা জনপ্রিয়তা আছে।

সায়নীর ভাষণ মানেই ভাইরাল। এখন প্রশ্ন কে লেখেন এই ভাষণগুলো। কারণ নেতা নেত্রীদের ভাষণ লিখে দেওয়ার একটি চল রয়েছে। আলাদা করে লোক রেখে ভাষণ লেখানো হয়। যেমন, ইন্দিরা গান্ধী থেকে মনমোহন সিং এদের প্রত্যেকেরই লোক ভাড়া করে ভাষণ তৈরি করা হত। এর জন্য মোটা অঙ্কের খরচ হত। কিন্তু সায়নী ঘোষের এমন কোনও লোক নেই। সায়নীর ভাষণ অন্য কেউ লিখে দেন এমন কোনও তথ্য আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এখান থেকেই স্পষ্ট যে, তৃণমূলের যুব নেত্রী নিজের ভাষণ নিজেই তৈরি করেন। তিনি অন্য কাউকে দিয়ে ভাষণ লিখিয়ে একটা টাকাও খরচ করেন না। সমসাময়িক বিষয় বস্তু ও অন্যান্য নেতৃ বৃন্দের বক্তৃতা থেকে তিনি নিজের ভাষণ তৈরি করেন। সায়নী তার প্রোগ্রামের ধরন অনুযায়ী ভাষণের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেন। তবে যুব তৃণমূল নেত্রীর উপস্থিত বুদ্ধি অনেক প্রখর। তাই যে কোনও স্থানে, যে কোনও ভাবে তিনি ভাষণের বিষয়বস্তু গুছিয়ে ফেলতে পারেন। এর জন্য় বিশেষ সময় তার লাগে না। বক্তৃতায় তিনি কতটা পারদর্শী, সেই প্রমাণ বিভিন্ন টেলিভিশনে তার কথা বলার ধরণ থেকে স্পষ্ট।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *