করমণ্ডলের পর ফলকনামা এক্সপ্রেস! জ্বলে পুড়ে ছাই চার চারটি কোচ, প্রাণ বাঁচাতে বগি থেকে ঝাঁপ যাত্রীদের
করমণ্ডলের পর ফলকনামা এক্সপ্রেস!
জ্বলে পুড়ে ছাই চার চারটি কোচ!
যাত্রীদের বাঁচার আর্তনাদ!
প্রাণ বাঁচাতে বগি থেকে ঝাঁপ!
কোথায় ঘটল এমন দুর্ঘটনা?
কীভাবে ঘটল?
করমণ্ডলের মাত্র ১ মাসের মাথায় ঘটল আরও বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। এবার দুর্ঘটনার কবলে হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস। ভয়াবহ আগুন লেগে যায় ট্রেনটিতে। আগুনের মাত্রা এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করে , মুহূর্তের মধ্যে, ট্রেনটির ৪টি বগি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আস্ত নেই কামরাগুলোর একটাও। আগুন লাগার সাথে সাথেই ট্রেনটি পুরো অন্ধকারে ঢেকে যায়। আগুনের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে পরিণত হয়। চারিদিকে শুরু হয়ে যায় তীব্র আর্তনাদ। যে ৪টি বগি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ, সেখানে কিছুই আর আস্ত নেই। তবে সৌভাগ্যের বিষয়, এই দুর্ঘটনায় কারো প্রাণহানি ঘটেনি। বড়সড় কোনও ছোট লাগেনি। সকলেই প্রাণ বাঁচিয়ে বেরিয়ে এসেছে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের তথ্য না পাওয়া গেলেও, পরবর্তীতে এমন তথ্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা প্রবল।
রেল সূত্রে খবর, ফলকনুমা এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তেলঙ্গানার নালগোন্ডার কাছে ট্রেনটিতে আগুন অগ্নি সংযোগ ঘটে। সাথে সাথে ট্রেনটির ৬টি বগিতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ৪টি বগি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার সাথে সাথেই যাত্রীরা কোনও রকমে ট্রেন থেকে বেরিয়ে এসে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। তাদের অন্য ট্রেনে গন্তব্য স্থলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এত বড় এক্সপ্রেস ট্রেনে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন! এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে। রেলের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে দুর্ঘটনার ভিডিও সামনে এসেছে। এখানে দেখা যাচ্ছে ট্রেনের বগিগুলো আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। ভিডিও সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, করমণ্ডলের প্রসঙ্গ উঠে আসছে। অনেকেই বলছেন, এখনও রেল প্রশাসনের হুঁশ ফেরেনি। যাত্রীদের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে রেল কতৃপক্ষ।
Leave a Reply