পঞ্চায়েতে ভোটচুরি রুখতে ব্যালট বাক্সে QR স্ক্যান কোড! কারচুপি করলেই, ধরে ফেলবে কমিশন
পঞ্চায়েতে ভোট চুরি রুখতে
ব্যালট বাক্সে QR স্ক্যান কোড!
বন্ধ হবে ‘বাক্স বদল’
থেমে যাবে ‘ভোট লুট’
কারচুপি করলেই
ধরে ফেলবে কমিশন
নতুন ব্যবস্থায় ঘুম উড়েছে
ভোট চোরেদের!
ভোট পর্বে কারচুপি, প্রত্যেকবারের অভিযোগ। যাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়ায় শাসক দল ও বিরোধী শিবির। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক পরিবেশ। তাই এবারের পঞ্চায়েত ভোটে আরও বেশি করে বাড়ানো হল নিরাপত্তা। ভোট পর্বে যাতে কেউ অঘটন না ঘটাতে পারে,তার জন্য নেওয়া হল অভিনব উদ্যোগ। এবারের ভোটে, ব্যালট বাক্সে থাকবে QR কোড। পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতেই ব্যালট বক্সে এই পরিবর্তনটি নিয়ে এলো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মনে করা হচ্ছে এই বারের ভোট ব্যালট বাক্সে করা হবে।
কেন বসানো হচ্ছে QR কোডঃ-
এক, এই QR কোড স্ক্যান করলেই ব্যালট বাক্সটি এলাকার কত নম্বর বুথের তা জানা যাবে৷ এর ফলে কাজেরও অনেক সুবিধা হবে। কাজ অনেক স্টিটেম্যাটিক হবে৷
দুই, ব্যালট বাক্স সম্পর্কিত যে কোনও তথ্য এই কিউ আর কোডের সাহায্যে জানা যাবে। ব্যালট বাক্সে কারচুপি হলেও ধরে ফেলা যাবে।
তিন, QR কোড বসালে অনেকেই ভয়ে ব্যালট বাক্স নিয়ে অনৈতিক কাজ করা থেকে বিরত থাকবে। একই সাথে মানুষ অনেক সচেতন হবে। নির্বাচনে সবচ্ছতা ফিরবে।
ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়িতে এই ধরেনের ব্যালট বাক্স আসতে শুরু করেছ। প্রত্যেকটি ব্যালট বাক্সের গায়ে কিউ আর কোড রয়েছে। রাজ্যে এই প্রথম আলাদা নম্বর এবং ‘কিউআর কোড’যুক্ত ব্যালট বাক্সে ভোট হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকেই যেভাবে রাজ্যজুড়ে হানাহানি শুরু হয়েছে, তাই ভোট পর্বকে সুনিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের বিরোধীরা আশঙ্কা করছে ভোট পর্বে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এছাড়াও অনেকেরই নিশ্চয় মনে পড়ে যাচ্ছে ২০১৮ সালের নির্বাচনী বিশৃঙ্খলার কথা। তার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেই লক্ষ্যেই ব্যালট বাক্সের এই নয়া সংযোজন।
Leave a Reply