হাজিরা এড়িয়ে অসম্পূর্ণ নথি জমা সায়নী ঘোষের! চরম অসন্তুষ্ট ইডি, রেগ লাল তদন্ত কমিটি

হাজিরা এড়িয়ে অসম্পূর্ণ নথি জমা সায়নী ঘোষের! চরম অসন্তুষ্ট ইডি, রেগ লাল তদন্ত কমিটি

হাজিরা এড়িয়ে গেলেন সায়নী ঘোষ!
জমা দিলেন অসম্পূর্ণ নথি!

নেই মায়ের কেনা ফ্ল্যাটের তথ্য
এড়িয়ে গেছেন নিজের নামে কেনা
সম্পত্তির হিসেব!

চরম অসন্তুষ্ট ইডি!
রেগ লাল তদন্ত কমিটি!

আবারও আলোচনায় সায়নী ঘোষ! এবার আরও বড়সড় গোল বাঁধালেন তিনি। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। একেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে ইডির জালে ফেঁসেছেন। ইডির তলবও পেয়েছেন তৃণমূলের যুবনেত্রী। প্রথমবার তলবে, টানা ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সায়নীকে। এরপর দ্বিতীয়বার তলব পাঠানো হয়। কিন্তু সেই তলব এড়িয়ে যান সায়নী ঘোষ। ইডিকে মেইল করে সায়নী জানিয়ে দেন ভোটের প্রচারে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে যাবেন। ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে তিনি দ্বিতীয় রাউণ্ডের তলব এড়িয়ে যান। এরপরেই সায়নীকে নিয়ে শুরু হয় নতুন তরজা। হাজিরা না দিলেও, ইডিকে মেইল করে পাঠিয়েছেন ৫৩০ পাতার নথি। তথ্য সূত্রে খবর, সায়নীর উপর বেজায় অসন্তুষ্ট ইডি আধিকারিকেরা। কারণ সায়নীর পাঠানো নথিতে সন্তুষ্ট নয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সমস্ত নথিগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নথি মিসিং। নথি অসম্পূর্ণ বলেই জানিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা।

সায়নীর জমা দেওয়া নথিতে কী কী মিসিং?

( লেখায় দেখাবে )

এক, সায়নী নিজের নামে কেনা ফ্ল্যাটের তথ্য দিয়েছেন। অথচ সায়নীর কাছ থেকে তার মায়ের নামে কেনা সম্পত্তির নথিও চেয়েছে ইডি। যা তিনি দেননি। কোনও তথ্যই তিনি দেননি।

দুই, সায়নী তার আরও একটি ফ্ল্যাটের নথিও জমা দেননি। এমনকি তার কলোনি ল্যান্ড নামে অন্য একটি সম্পত্তি বিক্রির নথিও দেননি।

তিন, এমন অনেক তথ্য সেই মেইলে নেই , যে তথ্যগুলো তদন্তের স্বার্থে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ইডিকে একটি চিঠি পাঠান সায়নীঃ –

নথিপত্রের সাথে ইডিকে একটি চিঠিও দেন সায়নী। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, বাকী নথিপত্র তিনি পরে জমা দেবেন। সায়নীর আচরণে অসন্তুষ্ট কেন্দ্রীয় তদন্তসংস্থা। সেই সাথে তিনি আরও বলেন ভোট পর্ব মিটে গেলে তিনি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত থাকবেন।

দ্বিতীয়বার কেন ডাকা হল সায়নীকে?

ইডি সূত্রে খবর, তাদের হাতে সায়নী ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে। সেই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতেই বিভিন্ন নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে ইডি আধিকারিকেরা। এমনকি হাজিরা দিতে বলা হয় সায়নীকেও। যা তিনি এড়িয়ে গেছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *