হেলিকপ্টার থেকে লাফিয়ে প্রাণে বাঁচলেন মমতা! ৩০ সেকেন্ড দেরি হলেই, সোজা যম দুয়ারে! আসল সত্য সামনে আনলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী!

হেলিকপ্টার থেকে লাফিয়ে প্রাণে বাঁচলেন মমতা! ৩০ সেকেন্ড দেরি হলেই, সোজা যম দুয়ারে! আসল সত্য সামনে আনলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী!

হেলিকপ্টার থেকে লাফিয়ে
প্রাণে বাঁচলেন মমতা!

৩০ সেকেন্ড দেরি হলেই
ঘটে যেত মারাত্মক সর্বনাশ!
সোজা যেতেন যম দুয়ারে!

জীবন বাঁচাতে তড়িঘড়ি ল্যান্ডিং!
কি হয়েছিল সেদিন?
কীভাবে ঘটেছিল এত বড় দুর্ঘটনা?

এই প্রথমবার
আসল সত্য সামনে আনলেন
খোদ মুখ্যমন্ত্রী!

এডিটরঃ- ভুলেও কোথাও নিউজ ১৮ এর এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ – উউত মমতা কোথাও দেখাবে না।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে কার্যত শয্যাশায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কারণ কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে ভোট-প্রচারে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মমতা ব্যানার্জির হেলিকপ্টার। তড়িঘড়ি আপৎকালীন ল্যান্ডিং করাতে হয় মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপটার। বড়সড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও, প্রাণ সংকটের সম্ভাবনা ছিল। পায়ে ও কোমরে ভালোমত চোট পেয়েছেন মমতা। এতদিন কোথাও মুখ খোলেননি তিনি। সাতদিনের মাথায় এই প্রথমবার সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। নিউজ ১৮ এর সাক্ষাৎকারে শোনালেন বেঁচে ফেরার গল্প। মুখ্যমন্ত্রীর বর্ণনায় প্রতি পরতে পরতে ধরা পড়েছে সেদিনের বিপদজনক পরিস্থিতির কথা। ঠিক কি ঘটেছিল! সাক্ষাৎকারে জানান-

( এডিটরঃ- লেখায় দেখাবে, ভুলেও কোথাও নিউজ ১৮ এর এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ – উউত মমতা কোথাও দেখাবে না। অন্য ফুটেজ দেখাবে। মমতার এই প্রসঙ্গে অন্যান্য ফুটেজ আছে ওগুলো চলাবে । ভুলে নিউজ ১৮ নয় )

‘সে দিন আর তিরিশ সেকেন্ড যদি সময় নিত, তা হলে হেলিকপ্টার ক্র্যাশ হয়ে যেত৷’

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দুর্ঘটনার দিন হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। যার ফলে দিক হারিয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপটার। এমনকি যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে পড়ে। ফলে তড়িঘড়ি আপৎকালীন ল্যান্ডিং করাতে হয়। এরফলে হেলিকপটার থেকে নামতে গিয়ে চোট পান মমতা৷ নিউজ ১৮ এর সাক্ষাৎকারে চোটের ব্যাপারে বলতে গিয়ে জানান- লাফ দিতে গিয়েই তিনি ব্যাথা পান। ঝড়-ঝঞ্ঝায় পরিস্থিতি এমন ছিল তিনি লাফ দিতে বাধ্য হন। ডাক্তাররা বিভিন্ন পরীক্ষা করে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর হাঁটুতে আঘাত পেয়েছেন। কোমরে চোট পেয়ছেন৷ হাসপাতেলে চিকিৎসা করানোর কথা বলা হলেও তিনি রাজি হন নি। কারণ হিসেবে জানান, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানেই একটি বেড এনগেজ হয়ে যাওয়া। একই সাথে হাসপাতালে ভর্তি হলে একাধিক চিকিৎসক তার সেবায় নিয়োজিত থাকবে। ফলে অনেকেরই অসুবিধা হবে। তাই বাড়িতেই চিকিৎসা করাচ্ছেন। তবে এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। হাতে, পায়ে,কোমরে চোট আছে।

মুখ্যমন্ত্রীর মত হাই প্রোফাইল ক্যাটাগরিতে থাকা ব্যক্তির সুরক্ষা কীভাবে বিঘিন্ত হল, এই নিয়ে অনেকের মনেই কৌতূহল দেখা যায়। সেই সমস্ত কৌতূহলেরও জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেদিনের পরিস্থিতির বর্ণনা দেন-

( এডিটরঃ- লেখায় দেখাবে, ভুলেও কোথাও নিউজ ১৮ এর এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ – উউত মমতা কোথাও দেখাবে না। অন্য ফুটেজ দেখাবে। মমতার এই প্রসঙ্গে অন্যান্য ফুটেজ আছে ওগুলো চলাবে । ভুলে নিউজ ১৮ নয় )

‘সেদিন কোনও ফায়ার ব্রিগেড ছিল না, কিছুই ছিল না৷ চালকের বুদ্ধিতে আমরা বেঁচে গিয়েছি৷ আমাদের দেড় ঘণ্টা বসতে হয়েছিল৷ চা ওরা অফার করেছিল, সেই কারণেই আমরা চা খেয়েছিলাম৷ চালক বুদ্ধি করে ম্যাপে দেখেছিলেন, সামনে একটা এয়ারবেস আছে৷ সেটা দেখে উনি নামিয়েছিলেন কপ্টার৷ আমি শুনেছি, তিন মিনিট এটিসির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না৷ মাত্র তিরিশ সেকেন্ড এদিক-ওদিক হলেই কপ্টার ক্র্যাশ করে যেত৷’

এছাড়াও সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন প্রচারে যেতে না পারার আক্ষেপের কথা। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপটার দুর্ঘটনাকে বাস্তব বলে মানবে নারাজ বিরোধীরা। সুকান্ত থেকে শুভেন্দু একযোগে নানা ভাবে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কেউ কেউ বলছেন পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষের আবেগ কেনার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *