এসে গেল দ্বিতীয় টাইটানিক! জীবন বাজি রেখে ৮০০০ যাত্রী নিয়ে নামছে সমুদ্রে, কতটুকু সুরক্ষিত? টাইটানিক থেকে কতটা আলাদা?
এসে গেল দ্বিতীয় টাইটানিক
জীবন বাজি রেখে ৮০০০ যাত্রী সহ
নামছে সমুদ্রে
টাইটানিকের থেকেও বহুগুণ বড়
লক্ষ লক্ষ টন ওজন
৪০ রকম লাক্সারিয়াস ব্যবস্থা
বিলাসিতা ও জাঁকজমক
ঘুরিয়ে দেবে মাথা
কতটুকু সুরক্ষিত টাইটানিক টু?
পারবে কি যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে?
টাইটানিক থেকে কতটা আলাদা
এই জাহাজ?
১১১ বছর আগে ডুবে যায় টাইটানিক। দৈত্যাকার এই জাহাজের সাথেই প্রাণ হারায় হাজার হাজার মানুষ। অভিশপ্ত এই টাইটানিক জাহাজ দেখতে কেমন ছিল, এই প্রজন্মের কেউ তো সেটা দেখেনি। শুধু গল্প আর ছবিতেই দেখেছে। এবার আফসোস করার দিন শেষ। কারণ শীঘ্রই আসছে টাইটানিক টু। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। একেবারে বাস্তবে জলে ভাসবে বিশালাকার টাইটানিক টু। টাইটানিকের পর এটিই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ। এর উপর বড় আর কোনও জাহাজ নেই। শীঘ্রই যাত্রা শুরু করবে দ্বিতীয় টাইটানিক।
জাহাজটি তৈরি করেছে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান নামক একটি সংস্থা। বিশালকার এই প্রমোদতরীটির নাম ‘আইকন অফ দ্য সিজ’। অবশ্য একে দ্বিতীয় টাইটানিকের সাথে তুলনা করা হচ্ছে। এটি টাইটানিকের থেকেও অনেকগুণ বড়ো। জাহাজটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১,২০০ ফুট। ওজন ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৮০০ টন। যেখানে টাইটানিকের দৈর্ঘ্য ছিল ৮৮২.৫৪ ফুট। এর থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, টাইটানিকের থেকেও কতটা বড় এই জাহাজ! ওজন ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৮০০ টন। জাহাজটিতে কি নেই! সমস্ত রকম লাক্সারিয়াস ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে আমোদপ্রমোদের সবরকম ব্যবস্থা। খাবার থেকে শুরু করে পানীয়ের ক্ষেত্রে থাকছে নানা রকম এলাহি আয়োজন। থাকছে অত্যাধুনিক সুইমিং পুল। জাহাজটির যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৭৯৬০ জন। যে কোনও বয়সের যাত্রী এই জাহজটিতে সফর করতে পারবে। ২০২২ সালে জাহাজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের শেষে পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজটি যাত্রা শুরু করবে। সব ঠিক ঠাক থাকলেই ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করবে দ্বিতীয় টাইটানিক। যাত্রা শুরু হবে, আমেরিকার ফ্লরিডার মায়ামি থেকে। এরপর পূর্ব এবং পশ্চিম ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে যাবে এই প্রমোদতরী। জাহাজটিতে প্রায় ২৮ ধরনের কেবিন রয়েছে। কেবিনগুলোতে যাত্রী ধারণ সংখ্যা দুই থেকে তিনজন। জাহজটির বেশিরভাগ ঘরে ব্যালকনি থাকছে। আরাম আর বিনোদনের জন্য থাকবে ৪০ রকমের ব্যবস্থা। টাইটানিকের থেকে অনেক বেশি মজবুত টাইটানিক টু এর সুরক্ষা ব্যবস্থা। যে কোনও বিপর্যয়কে মোকাবিলা করতে সর্বদা প্রস্তুত এই জাহাজ। থাকছে উচ্চ মানের লাইফ জ্যাকেট। লাইফ বোট।
মোট সাত দিনের সফর হবে এই জাহাজে। ইতিমধ্যেই টিকিট বিক্রি সম্পন্ন। জাহাজটিতে ভ্রমণ করতে যাত্রীদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। টাইটানিকের মতই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এই জাহাজটিকে ঘিরে।
Leave a Reply