মাথায় হাত নওশাদ সিদ্দিকির! ভেঙে চুরমার স্বপ্ন, একটি মাত্র ভুলের কারণে ভোটে লড়তে পারবেন না আইএসএফ এর ৮২ জন প্রার্থী
মাথায় হাত নওশাদ সিদ্দিকির!
ভেঙে চুরমার সমস্ত স্বপ্ন!
আর দেখাতে পারবে না দাদাগিরি!
ভাঙরে এত দাপট, এত ক্ষমতা
এক নিমেষেই চুরমার!
একটি মাত্র ভুলের কারণে
আর ভোটে লড়তে পারবেন না
দলের ৮২ জন প্রার্থী
বড়সড় অঘটন নওশাদের বাহিনীতে
মামলা গড়াল আদালতে
ঠিক কি ঘটেছে?
সম্মুখে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবারের ভোটে মুখ্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে আইএসএফ প্রধান নওসাদ সিদ্দিকী। ব্যক্তিত্ব, বাচন ভঙ্গি ও বিশ্বাসভাজনের সঙ্গে সঙ্গেই জিতে নিয়েছেন বহু মানুষের হৃদয়। তবে নির্বাচনের আগেই বড়সড় বিপদের মুখে নওশাদের দল। কারণ তার দলের ৮২ জন প্রার্থীই পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে পারবে না। সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ঠিক কি ঘটেছে?
জানা যাচ্ছে নিয়ম মেনে, আইএসএফ এর ৮২ জন প্রার্থী পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেন। কিন্তু হঠাৎই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে মুছে যায় আইএসএফ এর ৮২ জন প্রার্থীর নাম। বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। হঠাৎ কীভাবে কোনও কারণ ছাড়া ওয়েব সাইট থেকে ৮২ জন প্রার্থীর নাম মুছে গেল! এই বিষয়ে অভিযোগ তোলেন আইএসএফ গোষ্ঠী। পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার সুযোগ চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন ভাঙড়ের এই ৮২ জন পঞ্চায়েত প্রার্থী। মামলায় বিচারপতি কমিশনকে নির্দেশ দেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ খতিয়ে দেখার। এমনকি অভিযোগ সত্য হলে ঐ ৮২ জন প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও সুযোগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় কমিশনকে। এদিকে বিচারপতির নির্দেশে কোনও প্রকার কর্ণপাত করেননি কমিশন। সেই অভিযোগেই, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রার্থীরা। এরপরই মামলা উঠেছে, বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে জানানো হয়েছে, এই ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এর মুল কারণ- মামলাটি ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ১৫ দিন পরে মামলাটির আবার শুনানি হবে। কিন্তু ১৫ দিন পর পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়ে যাবে। তাই আপাতত এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে এই ৮২ জন প্রার্থী লড়তে পারবে না।
এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে! এদিকে আইএসএফ প্রার্থীদের মতোই ভাঙড়ের ১৯ জন সিপিএম প্রার্থীও মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নাম সরে যাওয়ার অভিযোগ করেন।
Leave a Reply