কে এই নওশাদ সিদ্দিকি? যার দাপটে কাঁপছে ভাঙড়, কত টাকার মালিক তিনি?
কে এই নওশাদ সিদ্দিকি?
জানেন কি তার আসল পরিচয়?
যার দাপটে কাঁপে গোটা ভাঙর!
ভয়ে ঘাম শুকিয়ে যায় তৃনমূলের!
ঘুম উড়ে যায় আরাবুল, শওকতের!
নওসাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কত?
কত টাকার মালিক তিনি?
কিভাবে এলেন ISF এ?
৩ বছরের মধ্যে কিভাবে হলেন
এত জনপ্রিয়?
বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচিত একটি নাম নওশাদ সিদ্দিকি। ভাঙরের নতুন নেতাই বলা যেতে পারে নওসাদকে। আইএসএফএর একমাত্র বিধায়ক তিনি। একেবারেই তরুণ, অল্প বয়সী। কিন্তু তেজ আর সাহসে তিনি ছাপিয়ে যাবেন বড় বড় দুঁদে নেতাদের। তিনি ভাঙরের বিধায়ক। ইতিমধ্যেই নওসাদের দাপটে ঘুম উড়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা আরাবুল ও সওকত মোল্লার। অনেকটা সিনেমার গল্পের মতন নওসাদের উত্থান। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগে পর্যন্ত কেউ চিনত না এই তরুণ নেতাকে। রাজ্য রাজনীতিতে অপরিচিত নাম ছিল নওশাদ সিদ্দিকি। এরপর থেকেই শুরু আসল খেলা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আলোচনায় এসেছে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির নাম। নওসাদ কে সেভাবে না জানলেও, তার দাদা আব্বাস সিদ্দিকিকে সকলেই এক নামে চেনেন। রাজ্য রাজনীতিতে ভাইজান নামেই পরিচিত তিনি। তিনিই আইএসএফ অর্থাৎ, ইন্ডিয়ান সেকুল্যার ফ্রন্ট এর প্রতিষ্ঠাতা। আইএসএফেরই একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বিধায়ক নওশাদ।
মোট সম্পত্তির পরিমাণঃ-
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে হলফনামা জমা দেন নওশাদ। সেখান থেকেই জানা যায় তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮১০ টাকা। সেই সময় নওসাদের হাতে নগদ ছিল ২৫ হাজার টাকা।
ব্যাঙ্কে নওশাদের টাকার পরিমাণঃ-
হলফনামা অনুযায়ী সেই সময়, নওসাদের ৪টি ব্যাংক একাউণ্ট ছিল। ব্যাংকগুলো যথাক্রমে-
পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক, টাকার পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৪৬৫ টাকা।
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, টাকার পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৩৯ টাকা।
ফার্মার্স কো – অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, টাকার পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৮০৬ টাকা।
ইন্ডিয়ান ব্য়াঙ্ক, টাকার পরিমাণ ছিল ২০ হাজার টাকা।
ঘর বাড়ি, মোট সম্পত্তি-
সেই সময় নওশাদের নিজস্ব কোনও বাড়ি ছিল না। এমনকি কোনও গাড়িও ছিল না। সম্পত্তির মধ্যে ছিল জাঙ্গিপাড়ায়
দুটি চাষের জমি।
নওশাদের পড়াশুনোঃ-
২০১৫ সালে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এই সমস্ত তথ্য ২০২১ সালে নওশাদের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে পাওয়া গিয়েছে।
Leave a Reply