বাড়িতে থাকা মমতা অভিষেকের ছবি ডাস্টবিনে ফেলেছেন সায়নী, বিস্ফোরক দাবি প্রতিবেশীর, ফাঁস করলেন সায়নীর গোপন কীর্তি!
বাড়িতে থাকা মমতা অভিষেকের ছবি
ডাস্টবিনে ফেলেছেন সায়নী!
আগেই টের পেয়েছেন ইডির পদক্ষেপ!
তড়িঘড়ি গায়েব করেছেন প্রমাণ!
বিস্ফোরক দাবি সায়নীর প্রতিবেশীর!
ফাঁস করলেন গোপন কীর্তি!
( বঙ্গ টিভির ফুটেজ )
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির ডাক পেতে চলেছেন, বিষয়টি কি আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন সায়নী ঘোষ? এমনটাই আশঙ্কা সায়নীর ঘোষের প্রতিবেশী পবন শর্মার। কেন হঠাৎ এমন কথা বলছেন প্রতিবেশি পবন বাবু? কারণ জুন মাসেই যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নীর বাড়ি থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে সায়নীর তোলা বেশ কিছু ছবি ডাস্টবিনে ফেলে দিতে দেখেন পবন বাবু নামের ওই প্রতিবেশী। বিষয়টি চোখে পড়তেই শুরু হয় সন্দেহ ওই ব্যক্তির। বাড়তে থাকে ধোঁয়াশা। সম্পূর্ণ ঘটনার দুটি ছবিও সামনে এনেছেন তিনি।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাছে সম্পূর্ণ ঘটনাটি তুলে ধরেন প্রতিবেশি পবন বাবু। তিনি জানান-
” জুন মাসের ২ বা ৪ তারিখ আমি দেখি সায়নীর বাড়ির পরিচারক সায়নীর সঙ্গে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁধানো ছবি ডাস্ট বিনে ছুড়ে ফেলছেন। আমি তাকে নিরস্ত করতে গেলে সায়নীর বাড়ির পরিচারক জানান, সায়নী ঘোষই ছবিগুলি ফেলে দিতে বলেছেন।”
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, বিষয়টি বেশ অদ্ভুত লাগে তার। তিনি বলেন সায়নী যুব তৃণমূলের সভানেত্রী। মমতা ব্যানার্জি দলের সুপ্রিমো, অভিষেক ব্যানার্জি সেকেন্ড ইন কমান্ড। দুজনেই তৃণমূলের বড় বড় ব্যক্তি। সায়নীর সাথেও বেশ তাদের ভালো সম্পর্ক। এর পরেও কীভাবে কোনও দলের কর্মী বা নেতা সেই দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর ছবি ডাস্টবিনে ফেলে দিতে পারেন? এরপর তিনি যুক্ত করেন, সম্পূর্ণ ঘটনাটি তখনই তিনি বুঝতে পারেন যখন সায়নীকে ইডি ডেকে পাঠায়। তখন পরিষ্কার হয়ে যায়, কেন বাড়ি থেকে মমতা অভিষেকের ফটো ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলেন সায়নী। প্রতিবেশী পবন শর্মার অনুমান,সায়নী আগে থেকেই বুঝতে পেরে গিয়েছিল যে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তার নামও জড়াতে পারে, সেই মতে তাঁকেও তদন্তের স্বার্থে ডাকা হতে পারে। এমনকি বাড়িতে ইডি সিবিআই হানা দিতে পারেও বলেও বুঝতে পেরে যান সায়নী। তাই তড়িঘড়ি প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই এই কাজ করেন সায়নী।
( বঙ্গ টিভি ও নিউজ ১৮ )
এখানেই শেষ নয়, পবনবাবুর দাবি সায়নীকে ছোট থেকেই চেনেন। তার সামনেই সায়নীর বেড়ে ওঠা। তিনি জানান, সায়নীকে সেভাবে বড় ব্যানারে কাজ করতে দেখেননি তিনি। বছরে একাধিক সিনেমা করেছেন এমনটাও তিনি শোনেননি। তবুও কীভাবে এত লাক্সারিয়াস জীবন যাপন করেন সায়নী সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। পবনবাবুর দাবি, ২০২০ সাল থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে, সায়নীর সম্পত্তি। ওই বছরই নাকি বিক্রমগড়ে কোটি টাকার রাজকীয় একটি ফ্ল্যাট বুক করেন। আর ফ্ল্যাট বুক করার সময় সায়নীর সঙ্গে ছিলেন কুণাল ঘোষ। পবন বাবু বলেন, কুন্তলকে সায়নী চেনেন না এই দাবি মিথ্যা। তিনি বলেন সায়নী কুন্তলকে বেশ ভালোভাবেই চেনেন। দুজনের চেনা জানা কেবল তৃণমূলের সুত্রেই নয়। এর আগে থেকেই দুজনের মধ্যে পরিচয় রয়েছে বলে জানান প্রতিবেশী পবন শর্মা।
Leave a Reply