Title : টাইটানিক থেকে প্রত্যেকের এই ৪টি শিক্ষা অবশ্যই নেওয়া উচিত, নিলেই বদলে যাবে জীবন
টাইটানিক কেবল সমুদ্রে ডুবে যায়নি,
ডোবার সাথে সাথে
মানুষকে দিয়ে গেছে চরম শিক্ষা
টাইটানিক ডোবার সময়
কেবল হাজার হাজার
মানুষকে ডুবিয়েছে তাই নয়
সঙ্গে ডুবিয়েছে মানুষের ওপর
ভরসা আর ভালবাসা
টাইটানিক থেকে আজ প্রতিটি মানুষের
নেওয়া উচিতএই ৪টি শিক্ষা
যা ভবিষ্যতে বদলে দিতে পারে জীবন
এক, স্বার্থপরতাঃ- টাইটানিক ডোবার সময় তার আশে পাশে ৩টি জাহাজ ছিল। প্রথম জাহাজটি ছিল মাত্র ৭ মাইল দূরে। সেই জাহাজের ক্রু মেম্বাররা টাইটানিকের বিপদ আন্দাজ করতে পেরেছিল। এমনকি তারা জানতে পেরেছিল ডুবতে চলেছে টাইটানিক। বিপদ আন্দাজ করেই জাহাজের মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে চলে যায় জাহাজটি। সেই জাহাজটি বেআইনীভাবে সমুদ্রের সিল মাছ ধরছিল। পাছে তাদের এই অপকর্ম ধরা না পড়ে যায়, তাই টাইটানিকের সাহায্যে এগিয়ে না এসে, জাহাজের মুখ ঘুরিয়ে চম্পট দেয়। জাহাজটির নাম ছিল স্যাম সাং। এই জাহজটির সদস্যরা শুধু মাত্র নিজেদের স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছে। অন্যের জীবনে কি এলো, কি গেল সেই নিয়ে কোনও মাথা ব্যাথা ছিল না তাদের।
দুই, নির্মমতাঃ- দ্বিতীয় জাহাজটির নাম এস এস ক্যালিফোরনিয়া। টাইটানিক থেকে জাহাজটির দূরত্ব ছিল মাত্র ১৪ মাইল। বরফের জালে বন্দি হয়ে, অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল জাহজটি। জাহজটির নাবিকেরা তখন দেখতে পাচ্ছিলেন, ধবংসের মুখে টাইটানিক। চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলেন টাইটানিকের যাত্রীদের বাঁচতে চাওয়ার আকুতি। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতিআর অন্ধকারে ঢাকা পড়েছিল জাহাজ এস এস ক্যালিফোরনিয়া। তাই জাহজটির কেপ্টেন সিদ্ধান্ত নেন তিনি ঘুমোতে যাবেন। সকালে দেখবেন কিছু করা যায় কি না। জাহাজটির অন্যান্য সদস্যরা নিজেদের বুঝিয়েছেন, ব্যাপারটি খুব বেশি গুরুতর নয়। ঠিক হয়ে যাবে।
তিন, সহযোগিতাঃ তৃতীয় জাহজটির নাম ছিল,কাল পাথিয়ান্স। এই জাহজটি যাচ্ছিল উল্টো দিকে। জাহাজটি ছিল প্রায় ৫৮ মাইল দূরে। জাহজটির নাবিকের রেডিওতে ধরা পড়ে টাইটানিকের যাত্রীদের আর্ত চিৎকার। সেই চিৎকার শুনেই হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন জাহজটির নাবিক। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে থাকেন। তিনি যেন সঠিক পথ দেখান। যাত্রীদের যাতে প্রাণে রক্ষা করেন। এরপর পূর্ণ শক্তিতে ধীরে ধীরে বরফ ভেঙে এগিয়ে যান টাইটানিকের দিকে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই কাজটি করেন কাল পাথিয়ান্স জাহাজের প্রধান নাবিক। কাল পাথিয়ান্সের এই সিদ্ধান্তের জন্যই প্রাণে বেঁচে যায়, টাইটানিকের ৭০৫ জন যাত্রী।
চার, নিঃস্বার্থপরতা ও ত্যাগঃ টাইটানিকের সাথে শেষ যে কজন ডুবে যায় তাদেরই মধ্যে একজনছিলেন হার প্লে। যাকে আপনি টাইটানিক সিনেমায় কাল্পনিক চরিত্রেও দেখতে পাবেন। তিনি ছিলেন টাইটানিকের মিউজিশিয়ান। টাইটানিক ফুটো করে যখন জাহাজে জল ঢুকতে শুরু করে, তখনই চারিদিকে শুরু হয়ে যায় চিৎকার, আর্তনাদ। যাত্রীদের মনে ঢুকে যায় প্রাণের ভয়। প্রথম শ্রেণীর যাত্রীরা তখন লাইফ জ্যাকেট পরে, লাইফ বোটে উঠে পড়ছেন। এদিকে দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রীরা ঠাঁই পাননি কোথাও। তারা তাদের সন্তানদের কপালে চুমু খেয়ে ঘুম পারাচ্চেন। ঠিক সেই সময় মিউজিশিয়ান হার প্লে নিজের বেহালা হাতে সুর তুলতে শুরু করে দেন। তারই সাথে যোগ দেন অনেকেই। সাক্ষাৎ যমদূতকে সামনে রেখেই বাজাতে থাকে বেহালা। বেহালার করুণ সুর কাঁদিয়ে তোলেন সকলকে। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে পড়েন সেখানেই। সবাই তখন নিশ্চিত এটাই তাদের শেষ দিন। শেষ নিঃশ্বাস। এই সমস্ত মৃত্যুপথযাত্রীদের যন্ত্রণা আর ভয়কে লাঘব কররেই ক্রমাগত বেহালা বাজাতে থাকে হার প্লে ও তার সহকর্মীরা।
বুঝতে পারলেন টাইটানিক আপনাকে কোন শিক্ষা দিয়েছে। আপনার জীবনে, আশেপাশে এই ধরনের মানুষ আপনি অনেক দেখতে পাবেন। কেউ আপনার কাছে থেকেও সাহয্যের হাত বাড়াবে না। মুখ তুলেও চাইবে না। আবার কখনও এমন কেউ যাকে আপনি চেনেন না, জানেন না, সেই রকম কিছু মানুষ আপনার সাহায্যে প্রাণ দিয়ে দেবে। কেমন লাগল এই ভিডিওটি, কি কি শিখলেন, আপনার জীবনেও কি আছে এমন মানুষ? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। ভিডিওটি ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন।
Leave a Reply