জানেন কিভাবে অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে এলেন সায়নী ঘোষ? ভোটে না জিতেও মমতার প্রিয় পাত্রী! কীভাবে সম্ভব?

জানেন কিভাবে অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে এলেন সায়নী ঘোষ? ভোটে না জিতেও মমতার প্রিয় পাত্রী! কীভাবে সম্ভব?

জানেন কিভাবে অভিনয় ছেড়ে
রাজনীতিতে আসেন সায়নী ঘোষ?

বামফ্রন্টের অন্ধ ভক্ত থেকে
তৃণমূলের সভানেত্রী!

ভোটে না জিতেও
মমতার প্রিয় পাত্রী!
কীভাবে সম্ভব?

কেন রাজনীতিতে যোগ দিলেন সায়নী?
কেনই বা বামফ্রন্ট ছেড়ে এলেন তৃণমূলে?

দীর্ঘদিন ধরেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সরব রাজ্য-রাজনীতি। এবার আরও একদফা বেড়ে গেল নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের পারদ। এবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িয়ে গেল অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের নাম। ইতিমধ্যেই ইডির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এরপর থেকেই কালী ঘাটের কাকু, অভিষেক ব্যানার্জিকে ছেড়ে আমজনতার নজর এখন সায়নীর দিকে। তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নীকে কেন্দ্র করেই উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়েও শুরু হয়েছে বিস্তর জলঘোলা। কলকাতার মেয়ে সায়নী ঘোষ। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বিলাসবহুলে ফ্ল্যাটে সপরিবারে থাকেন তিনি। এক সময় অভিনেত্রী ছিলেন, বর্তমানে পুরোদস্তুর নেত্রী। ২০১০ সালে ‘নটবর নটআউট’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ হয় অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের। এরপর একে একে করেছেন- গল্প হলেও সত্যি, মায়ের বিয়ে, ভূতের ভবিষ্যৎ। বেশ ভালোই ছাপ রেখেছেন সিনে পাড়ায়। সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা, ঝরঝরে বক্তব্যের জেরে সহজেই দর্শকমনে জায়গা করে নেন সায়নী। তবে ধীরে ধীরে সিনে পাড়ায় ইতি টানেন অভিনেত্রী।

সিনেমা ছেড়ে পা রাখেন রাজনীতির ময়দানে। তিনি প্রথম দিক থেকেই বাম ফ্রন্ট ঘেঁষা ছিলেন। বেশকিছুদিন লাল পতাকা হাতেই সভা মিছিল করেন। এরপরেই হঠাৎ দল পাল্টে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলে যোগ দেন সায়নী। এরপরেই আসে সায়নীর জীবনে সবচেয়ে বড় টার্ন। সে বছর আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, গ্ল্যামার দুনিয়ার আরেক তারকাকে গেরুয়া শিবিরের অগ্নিমিত্রা পল।
নির্বাচনে হেরে যায় সায়নী। তবে হেরে গিয়েও কিন্তু তার প্রভাব কমেনি। বরং আরও বেড়ে যায়। বিধানসভায় গো হারা হেরেও , সমান তালে বজায় থাকে সায়নীর দাপট। দলের অন্দরেও বাড়তে থাকে সায়নীর জনপ্রিয়তা। বিশেষ করে মমতা ব্যানার্জির কাছের মানুষ ওঠেন তিনি। বিশিষ্টদের মতে, ভালো বক্তা হওয়ার কারণে দলের সদস্যদের কাছে টেনে নিতে পারতেন সায়নী। এই গুনেই তিনি সকলের প্রিয় হয়ে ওঠেন।

দলের হয়ে বিজয়ী হতে না পারলেও, সায়নীর আদর আপ্যায়নে ভাটা পড়েনি বলেই শোনা যায়। ২০২১ সালে সায়নীর হাতে ওঠে, যুব তৃণমূলের সভানেত্রীর দায়িত্ব। অভিষেক ব্যানার্জির শূন্যস্থানে সায়নীকে দেওয়া হয় এই দায়িত্ব। এখানেই প্রমাণ মেলে দলের কাছে সায়নীর গুরুত্ব। বিভিন্ন সময় শিরোনামে উঠে আসেন তৃণমূলের সভানেত্রী। কখনও বিস্ফোরক মন্তব্য করে, আবার কখনও বিতর্কিত পোস্ট করে। তবে এই মুহূর্তে ইডির জালে ধরা পরেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে সায়নী ঘোষ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *