পান্ডুয়ায় তৃনমূল প্রার্থী তৃনমূলের সঙ্গে বিজেপি সিপিএম এর পতাকাও বিক্রি করেন,রাজনীতি মানে ব্যাক্তি লড়াই নয় বলছে সিপিএম,বিজেপির দাবী সবার সঙ্গে সুসম্পর্কের।
পঞ্চায়েত ভোটের আর কটা দিন বাকি এই সময় রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারে ব্যস্ত।বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকায় ভরেছে পথঘাট।এখন গ্রাম দখলের লড়াই।গ্রামের সরকার তৈরীর প্রতিদ্বন্দ্বীতা।কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ।যার ফলে সংঘর্ষ রক্তপাতের ঘটনাও ঘটছে।তবে পান্ডুয়ায় বৈঁচীতে অবশ্য ছবিটা একটু আলাদা।বাটিকা বৈঁচী গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামসভার তৃনমূল প্রার্থী হয়েছেন দীপ্তেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুয়া।বৈঁচী রেলগেট সংলগ্ন বৈঁচী কালনা রাস্তার ধারে তার স্টেশনারি দোকান।সেই দোকানে বিক্রি করেন রাজনৈতিক দলের পতাকা।তৃনমূল বিজেপি সিপিএম সব দলের পতাকা টাঙানো রয়েছে দোকানে।অনেকেই আসছেন পতাকা কিনছেন।দীপ্তেন্দু তৃনমূল তার দোকান থেকে বিজেপি সিপিএম পতাকা কিনতে কোনো সমস্যা নেই বলছেন স্থানীয় রাম বাম নেতৃত্ব।তাদের কথায় রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় ক্রেতা ব্যবসায়ীর সম্পর্ক অন্য জায়গায়।দীপ্তেন্দু জানান দোকান চালিয়ে তার পেট চলে তাই দোকানে তৃনমূল সিপিএম বিজেপির কোনো তফাত নেই।ভোটের ময়দান আলাদা সেখানে নীতির লড়াই।আর দোকান হল পেটের লড়াই।আসলে এখানে হানাহানি মারামারি বদলে আছে বন্ধুত্বপূর্ণ সহবস্থান।আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাই তৃনমূল প্রার্থীর দোকান থেকে পতাকা কিনতে সমস্যা নেই বিজেপি সিপিএম এর।আবার নিজে তৃনমূল হয়ে বিরোধীদের পতাকা বিক্রি করতে অসুবিধা নেই বাবুয়ার।তিনি বলেন,সব দলের পতাকা বিক্রি হচ্ছে।তবে তৃনমূলের একটু বেশি।
বিজেপির দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, রাজনীতির ময়দানে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলি না। দীপ্তেন্দু তৃনমূল করলেও তার দোকান থেকে পতাকা কিনি কারন এটা ওর ব্যবসা।তার থেকে বড় হল পান্ডুয়া একটা সৌভ্রাতৃত্বের পরিবেশ আছে।বিজেপি বেশির ভাগ পতাকা কলকাতা থেকে আনে।
সিপিএমের প্রদীপ সাহা বলেন,তৃণমূলের যিনি প্রার্থী হয়েছেন তিনি একজন ব্যবসাদার তার দোকানে তিনি কি জিনিস বিক্রি করবেন সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন পান্ডুয়ায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। কারণ রাজনৈতিক লড়াই হবে নীতি এবং আদর্শের।সেখানে ব্যক্তিগত কুৎসার কোন জায়গা নেই।
Leave a Reply