ব্যাঙ্ক কর্মীদের টয়লেটে আটকে দিয়ে ব্যঙ্ক ডাকাতি
দিনে দুপুরে অস্ত্র নিয়ে ব্যাঙ্কে ঢুকে পরল দুষ্কৃতীরা
নয় নয় করে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ডাকাতি
ভল্ট ভেঙে অলংকার লোপাট
প্রমাণ লোপাট করতে খুলে নেয়া হল হার্ড ডিস্ক।
সুকৌশলে একেবারে সর্বশান্ত করা হল ব্যাঙ্ক কে
কয়েক মিনিটেই কাজ শেষ
ঠিক যেন সিনেমা
সামনে এলো সিউড়ির ঘটনার CCTV ফুটেজ
সিনেমাকেও হার মানাবে মঙ্গলবার সকালে সিউড়িতে ঘটে যাওয়া ব্যাঙ্ক ডাকাতির (Bank Robbery) ঘটনা। এদিন এমন ঘটনাটি ঘটে সিউড়ি থানার অন্তর্গত রবীন্দ্রপল্লীতে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্তরে পৌঁছায় পুলিশ এবং এই ঘটনায় কারা যুক্ত রয়েছেন তা খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
ঠিক কি ঘটেছিল এদিন সকালে? জানা যাচ্ছে মঙ্গলবার সকাল ৯:৪৪ নাগাদ ৬ জন ব্যক্তি গ্রাহক সেজে সিউড়ির রবীন্দ্রপল্লীর শোভাবাজারে থাকা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় (SBI) প্রবেশ করেন। ব্যাঙ্কে প্রবেশ করার পর ব্যাংকের মধ্যে থাকা কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তারা তাদের বাথরুমে বন্দী করেন। তারপরই চলে লুটপাট। ব্যাংক কর্মীদের ব্যাংকের শৌচালয়ে বন্দি করে দেওয়ার কারণে তারা সেই সময় নিরুপায় হয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার সাতসকালে এমন ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ঠিক কত টাকা বা অন্য সামগ্রী ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে গেল ডাকাতের দল তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্টভাবে ব্যাংকের তরফ থেকে জানানো হয়নি। ব্যাংকের ম্যানেজার চঞ্চল ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় ঠিক কত টাকার বা অন্য কোন অলংকার ব্যাংক থেকে ডাকাত দলরা তুলে নিয়ে গিয়েছে। পুরোটাই তদন্ত চলছে এবং সেই তদন্তের পরই সঠিক হিসাব জানানো যাবে। তবে একটা ঘটনা ঘটে গেছে তা মানতে হবে।”
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে টাকার অংক বলা না হলেও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ডাকাত দল দুটি ব্যাগে নগদ টাকা এবং ভল্টে থাকা কিছু অলঙ্কার নিয়ে গেছে। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে তারা এই তাণ্ডব চালায় এবং শেষমেশ এসি টিভি ক্যামেরার যে হার্ডডিক্স রয়েছে সেটিও খুলে নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা এবং লোনের জন্য রাখা কিছু অলংকার ব্যাংক থেকে চুরি গিয়েছে।
এমন ঘটনার খবর পেয়েই ডিএসপি’র নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছান বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজ নারায়ণ মুখোপাধ্যায়। তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে নানান আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
Leave a Reply