উল্টোরথে ভাঙা হল জগন্নাথ এর দরজা
লেঠেল নিয়ে ভাঙা হল দরজা ।
দরজা ভেঙে চলল মালসা লুঠ ।
শতাধিক মানুষ হামলে পরে ভাঙল জগন্নাথের দরজা
খাওয়া বন্ধ করে জগন্নাথের।
হুগলির গুপ্তিপাড়া
অবাক করা কান্ড
হুগলির প্রাচীন এই জনপদে উল্টো রথের আগের দিন হয় ভান্ডার লুট। শতাধিক মানুষ একসঙ্গে এই মন্দির থেকে ঠাকুরের মালসা ভোগ লুট করতে আসে। এবং যে যত বেশি ভোগ লুট করতে পারে তার মানও হয় তত উপরে।
পুরান মতে স্নান যাত্রার পরেই প্রভু জগন্নাথের ধূম জ্বর আসে। লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগতের নাথ। কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর সারে তার। মুখের স্বাদ বদল করতে রথে চেপে মাসির বাড়ি যান।বৃন্দাবন থেকে দ্বারকায় গিয়ে ভক্তদের সঙ্গে লিলায় মেতে ওঠেন। ওদিকে জগন্নাথ পত্নি লক্ষ্মি চিন্তিত হয়ে পড়েন, স্বামী বোধহয় পরকিয়ায় লিপ্ত হয়েছেন। তাকে তুকতাক করতে সরষে পোড়া দেন।
এদিকে জগন্নাথ মালপোয়া ক্ষির মন্ডা মিঠাই তার প্রিয় খাবার পেয়ে আর ভক্তদের নিয়ে মজে থাকায় বৃন্দাবন ফিরে যাচ্ছেন না। লক্ষ্মি এসেও জগন্নাথকে নিয়ে যেতে ব্যার্থ হলেন। সেই কথা শুনে বৃন্দাবন চন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে গিয়ে নালিশ করলেন।জগন্নাথকে পেটে মারতে হবে। অর্থাৎ তার খাবার যোগ বন্ধ করতে হবে। লেঠেল নিয়ে মাসির বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে খাবার লুট করা হয়। মালসায় ভরা নানা ধরনের খাবার লুট করে ভক্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়। খাবার না পেয়ে পরদিন মাসির বাড়ি থেকে উল্টো রথে ঘরে ফেরেন জগন্নাথ। সেই রীতি আজো আছে। আর তা পালিত হয় গুপ্তিপাড়াতে।রীতি অনুযায়ী ঘোষেদের ছেলেরা এই ভান্ডার লুট করতে আসে। ভান্ডার লুট দেখতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় গুপ্তি পাড়ায়।শুধু হুগলি না নদীয়া বর্ধামান সহ অন্যান্য জেলা থেকেও মানুষ আসেন।রথের দিন যে মেলা শুরু হয় তা চলে একমাস ধরে।
Leave a Reply