চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন আলোড়ন।
এই মহিলাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে আনলেন নতুন পথ।
একবার কিংবা দুবার নয়
চারবার সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা
কোন বেসরকারি হাসপাতালে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে নয়
একেবারে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে
ডাক্তারি পরামর্শ মেনেই সাফল্য।
সরকারি হাসপাতালের পরিষেবায় ঘটল চমৎকার
কথায় আছে চিকিৎসক হলেন ভগবানের আরেক রূপ। জীবনে বাঁচা মরার বেশিরভাগ অংশটাই তাদের উপর নির্ভরশীল । তারা যেমন রক্ষক আবার তাদের ছোট্ট গাফিলতি প্রাণ কেড়ে নিতে পারে রোগীর। কঠিন ব্যাধি কিংবা অস্ত্রোপচার হলেই মানুষের প্রবণতা থাকে বেসরকারি হাসপাতালের দারস্থ হওয়ার। তবে যাদের ক্ষমতা নেই ,যারা গরীব তাদের কাছে সে দরজাও যে বন্ধ।
তবে কালক্রমে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি হাসপাতাল সম্পর্কে মানুষের ধারণা নেতিবাচক হয়েছে।আপনি অবাক হবেন জানলে যে সরকারি হাসপাতাল এই মুহূর্তে উচ্চমানের পরিষেবা সত্যিই দিচ্ছে। সরকারি হাসপাতালেই এবার ঘটলো এক বেনজির ঘটনা । ফের স্থান নদীয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল।
একবার নয় দুবার নয় চারবার সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তান প্রসব করানো হলো এই মায়ের.।
Byte
তবে নদীয়ার পলাশী পাড়ার বাসিন্দা জয়দেব দাস তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী অসীমা দাস কে নিয়ে ডক্টর পবিত্র ব্যাপারি কে দেখান আজ থেকে ৬ মাস আগে। তখনই ডাক্তারবাবু জানতে পারেন ইতিমধ্যেই তার তিনবার সিজার হয়েছে, এবং সেই সুবাদে তার দশ বছরের এবং ছয় বছরের দুটি কন্যাও রয়েছে। তৃতীয়বার একটি সন্তান মারা যায়। অবশেষে হয়তো পুত্র সন্তানের আশায় চতুর্থবার গর্ভধারণ করেন ওই দম্পতি।
Byte0;36-0;55 maaa
চিকিৎসক শুরু থেকেই জানতেন বিষয়টি যথেষ্ট জটিল , যেহেতু ছয় মাস পার হয়ে গেছে, তাই ডক্টর ব্যাপারী চিকিৎসা শুরু করেন। অত্যন্ত অভাবী পরিবার হওয়ার কারণে তিনি শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন।
Byte0;00-0;31 doc
- অবশেষে সেই জটিল অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়।চতুর্থবারের সফল অস্ত্রপ্রচারের ফলে জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান। নবজাতকের ওজন এবং শারীরিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক মাও রয়েছেন সুস্থ। পরিবারের পক্ষ থেকে ডাক্তারবাবু এবং সরকারি হাসপাতালে প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সমগ্র হাসপাতালের ডাক্তার নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সফলতার উচ্ছ্বাস। ডক্টর ব্যাপারী এ ব্যাপারে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সফলতা বলে জানান। সর্বোপরি সুপারেন্টেন্ড ডক্টর তারক বর্মনের অনুমতির ফলেই এই দুঃসাধ্য সাধন হয়েছে বলে তি´πনি জানিয়েছেন।
Leave a Reply