কথা দিয়ে কথা রাখল রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন
বাবা মা হারা সন্তানদের কোলে টেনে নিল ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশন
যার কেউ নেই ,তার পাশে রয়েছে তারা
দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যারা হারিয়েছে কাছের মানুষ
তাদের পাশে থেকে নতুন নজির গড়ল ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশন
বাংলার ৫৮ জন শিশু সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিলো কর্তৃপক্ষ
২রা জুন রাতের অন্ধকারে করমন্ডল দুর্ঘটনা । সেই মর্মান্তিক দৃশ্য এখনো মনে পড়লেই শিহরণ জাগে মানুষের মনে। বালেশ্বরে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনা বদলে দিয়েছিল লক্ষাদিক মানুষের জীবন। কেউ হারিয়েছিল বাবা, কেউ হারিয়েছিল স্বামী ,আবার কেউ ভাই। পরিবারের রোজগারের প্রধান মাথা হয়েছিল বলিদান। হাজারো দুঃসংবাদের মাঝে যখন চারিদিকে শুধুই কান্নার রোল, বিষন্নতা ,তখন উত্তর 24 পরগনার ব্যারাকপুরে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন নিয়েছিল সেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। দুর্ঘটনা দুদিন পরেই মিশনের মহারাজ নিত্যরূপানন্দ জি মহারাজ টুইট করে জানান এই দুর্ঘটনায় যারা পিতা-মাতা হারিয়েছেন বা পিতা মাতার আর কাজ করার ক্ষমতা নেই, তাদের বাচ্চাদের পড়াশোনা এবং ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবেন বারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশন। শুধু তাই নয়, কেউ যদি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চায় সে ব্যবস্থাও করবে ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশন। টুইট করার পর বাংলা বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ৫৮ জন এ ধরনের সুবিধা পেতে আবেদন জানান রাজ্য সরকারের কাছে। আর তাই এদিন মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে ১৫ জন ছেলে মেয়ে আশ্রয় পেল রামকৃষ্ণ মিশনে।
ByteByte0:00-0;47 gerua
যাদের সত্যিই কেউ নেই ,যাদের প্রিয়জন হারিয়ে গিয়েছে।সেই শোক কোনদিনও ভোলার নয় ,সেই অভাব কোনদিনও পূরণ হওয়ার নয় তবে জীবন মানেই তো প্রবাহমানতা ,জীবন মানেই তো এগিয়ে চলা। তবে এগিয়ে চলাই যেন অসম্ভব এই শিশুদের জন্য । কিভাবে এগিয়ে চলবে তারা ?সে কথাই যেন না বলতেই অনুভব করেছিল ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশন। তাই তাদের পড়াশোনার, বড় হওয়ার যাবতীয় দেখভালের খরচা তারাই নেবে বলে ঠিক করেন ।
এদিন নিজেদের সন্তানকে রাখতে একাধিক মা যান রামকৃষ্ণ মিশনে ছেলেদের রাখতে । সেখানে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারাও। সন্তান ছাড়া তাদের জীবনে নেই কেউই। কোথায় যাবেন তারা?
Byte1;19-1;42 mohila
একথা বুঝতে পেরে দয়ার সাগর হয়ে ওঠেন রামকৃষ্ণ মিশন জানানো হয় মায়েদেরও ঠাঁই হবে এখানে।
। সে ক্ষেত্রে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, যাতে বাচ্চাকেও দেখাশোনা করতে পারে এবং সমাজের কাজে লাগতে পারে সে ব্যবস্থাও করেন মিশনের মহারাজ।
Byte0;48-1;02 gerua
এইদিন রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে অসহায় পরিবার সহ রেল দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সন্তানরা। এই সিদ্ধান্ত ,এই উদ্যোগ কে কুর্নিশ জানায় বাংলা হান্ট
Leave a Reply