কপালের নাম গোপাল
এই ভাগ্যের লিখন খন্ডাতে পারে না কেউই।
হয়তো কথা ছিল ১৮ বছর ধরে নামিদামি হাসপাতাল ঘুরেও পিতৃসুখ এবং মাতৃসুখ জুটবে না তাদের কপালে।
১৮ বছর ধরেই মা-বাবা ডাক শুনতে মরিয়া তারা।
অথচ ভাগ্য দেখুন
সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে কিছুতেই সক্ষম হচ্ছিলেন না এই মা-বাবা
হাজার হাজার টাকা খরচ ,দামী দামী হাসপাতাল
লাভ হচ্ছে না কিছুই।
অবশেষে
সরকারি হাসপাতাল দেখালো পথ
দীর্ঘ ১৮ বছরের অপেক্ষার পর সন্তানের মুখ দেখল এই বাবা-মা।
জীবনে বাবা-মা ডাক শুনতে কেনা চায় । কেনা চায় ছোট্ট দুটো পা খেলে ব্যারাক বাড়ি জুড়ে। এই দম্পতিও দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তাই চাইছেন । দীর্ঘ 18 বছর ধরেই মা বাবা হতে চান তারা । যার জন্য ঘুরেছেন নামি দামি হাসপাতাল ,বড় বড় নামকরা ডাক্তারদের দেখিয়েছেন লাগাতার তবে কোন কিছুতেই হয়নি মুশকিল আসান। শান্তিপুর দু’নম্বর এলাকার বাসিন্দা পেশায় শ্রমিক অজয় বিশ্বাস এবং স্ত্রী সাক্ষী থাকল অদ্ভুত আশ্চর্যের।
Byte0;32-1;01
বিয়ের ছ মাসের মধ্যেই একটি অস্ত্রোপচার হয় স্ত্রীর। সেই অস্ত্রোপচারের পরেই চিকিৎসকেরা তাদের জানান সন্তান সম্ভাবনা হতে তার স্ত্রীর দেরি হতে পারে। তবে বাবা মা সব পারে । সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে ১৮ বছর ধরে লড়ছেন তারা । প্রতিদিনই নতুন আশা ,তবে প্রত্যেকবারই সেই আশা ভেঙ্গে গেছে। প্রত্যেকবারই চোখে জল নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে অজয় বাবুর স্ত্রীকে । যখন আর কোন আশা নেই এই দম্পতির জীবনে হঠাৎ তখনই ঈশ্বরূপে আবির্ভাব ঘটে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার পবিত্র কুমার বেপারীর। তার তত্ত্বাবধানে হয় অস্ত্রোপচার তার ফলে জন্ম নেয় তাদের প্রথম সুস্থ সন্তান।
Byte 0;05-0;26
মাতৃসুখ পেতে যতখানি কষ্ট করেছেন গর্ভধারণী মা ঠিক ততখানি পরিশ্রম করেছেন এই ডাক্তার। সত্যি এমন একাধিক মা রয়েছে যারা চান সন্তানের মুখ দেখতে, চান মাতৃসুখ অনুভব করতে তাদের কাছে বিশেষত এই মায়ের কাছে ডঃ পবিত্র এক মনুষ্য রুপী দেবতাই।
Leave a Reply