দন্দ যেন কাটতেই চাইছে না নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যপালের মধ্যে
রাজ্যপাল বনাম নির্বাচন কমিশন
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে লেগে রয়েছে দ্বৈরথ
আবারো রাজ্য কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হলেন আনন্দ বোস ।
ভেবেছিলাম এই নির্বাচন কমিশনের দ্বারা শান্তিপূর্ণ ভোট হবে
তাই করেছিলাম নিয়োগ!
নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্ষেপের সুর আনন্দ বোসের গলায়
ব্যর্থ কমিশন
হলদিয়া এ গিয়ে আবারো কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি
বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোটের আশ্বাস বোসের
রাজ্য নতুন নির্বাচন কমিশন পাওয়ার পর থেকেই রাজ্যের রাজ্যপাল এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে দ্বৈরথ লেগেই রয়েছে । পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ,ঘোষণার পর থেকেই হাওয়া গরম হয়েছে রাজ্যে। এরপর মনোনয়নপত্র জমা করবার সময় ভাঙ্গর সহ রাজ্যের একাধিক প্রান্তের যে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে তা কার্যত চিন্তায় ফেলেছে রাজ্যবাসীকে । মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শুরুতেই যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে ভোটে কি হবে ?এই প্রশ্নই কমিশনকে কে করতে শোনা যায় রাজ্যপাল কে ।
। এমতাবস্থায় শান্তিপূর্ণ ভোট করাবার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আবশ্যিক বলে মনে করেছেন যেমন বিরোধীদলেরা তেমন রাজ্যপাল স্বয়ং ।অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য এবং আদালতের মাঝে লেগে রয়েছে দ্বন্দ্ব।
আদালত নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে বুথে মোতায়নের জন্য। এই পরিস্থিতিতে হলদিয়ায় এসে নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা করলেন রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
২২ জুন বৃহস্পতিবার হলদিয়ার আইওসি রিফাইনারি ফ্যাক্টরি পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের রাজ্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল কে অভ্যর্থনা জানাতে আইওসি এর কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। এদিন দুপুর একটার পর হলদিয়ার আইওসি রিফাইনারি ফ্যাক্টরিতে আসেন তিনি। প্রথমে ফ্যাক্টরি বিভিন্ন প্রজেক্ট সাইট ঘুরে দেখেন তারপর সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
Byte
এখানেই শেষ নয়, এই দিন নির্বাচন কমিশন কে নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি । নিজেই নিয়োগ করেছিলেন তার সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই কার্যত দুঃখিত আনন্দ বোস। বলেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারকে আমি নিয়োগ করেছিলাম বিশ্বাস ছিল রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। কিন্তু রাজ্যের মানুষ নির্বাচন ঘিরে অশান্তিতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অখুশি। বাংলার মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তি ফিরিয়ে দিতে রাজ্যপাল বদ্ধপরিকর।
Leave a Reply