Sokal

সকালে ঘুগনি পাউরুটি

রাতে এগ রোল, চাওমিন

এই বিক্রি করে ক্যাশ বাক্সে যা মেলে তা জাহির করে বলার মত মোটেই নয়।

তবে যা জাহির করে বলার মত তা হল

তার হাতের কাজ

ছোটবেলা থেকেই শখ ছিল শিল্পী হবার

মাথার উপর কারো হাত ছাড়াই শিল্পী হয়ে উঠেছেন তিনি

তবে তার পরিচিতি রয়ে গিয়েছে চাওমিন বিক্রেতা হিসেবে

খুব কম মানুষই জানেন তার হাতের তুলিতে সেজে ওঠে ক্যানভাস

কখনো জল রং, কখনো অয়েল পেইন্টিং ,চোখের সামনে যা ভেসে ওঠে তাই তিনি তোলেন নিজের ক্যানভাসে।

 

 

আর যাই হোক, বড় হয়ে চাওমিন বিক্রেতা হওয়ার স্বপ্ন ছিল না তার । স্বপ্ন ছিল একদিন তার আঁকা হবে জগৎবিখ্যাত। তার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দুনিয়া দেখবে মানুষ। তবে সব স্বপ্ন যে সত্যি হতে হবে তা বোধহয় নয় । এই যেমন হুগলির অরুন কুমার মুখার্জি । ছোট থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখছেন তার তুলির টানে দুনিয়া আঁকবার অথচ আজ তার পরিচয় তিনি ফাস্টফুড দোকানের মালিক। ৬০ বছরের জীবনে সংসারের হাল টানতে আজ এই পরিচয় কেই বেছে নিতে হয়েছে তাকে।

Byte0;00-0;30—-2;01

সকালে পরোটা ঘুগনি বিক্রি করেন, বিকেল হতেই চাওমিন এগ রোল মোগলাইয়ের দোকান। বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও দুই মেয়ে। সংসারের হাল টানা বড়ই কঠিন তার কাছে। লড়াই করে চলেছেন তিনি জীবন সংগ্রামে। তবে এই লড়াইয়ের মাঝেও তিনি দম বন্ধ করে মেরে ফেলেন নি নিজের শিল্পী সত্তাকে ।বেঁচে রয়েছে তার শিল্পকলা ,আজও সময় পেলেই রং তুলি নিয়ে বসে যান তিনি। চোখের সামনে যাই দেখেন তাই আঁকেন। যেন এই গোটা দুনিয়ায় তার কাছে ক্যানভাস.। অথচ তার আঁকা দেখলে কে বলবে কোন পুঁথিগত শিক্ষাই নেই তার।

Byte0;00-0;31—-1;03

 

লকডাউনে নিজের সময় অতিবাহিত করার জন্য অয়েল পেইন্টিং করতে শুরু করেন। সেই নেশা এতটাই জাকিয়ে বসেছে তার মনে প্রতিদিন নিজের অবসর সময় তিনি শুরু করেন ছবি আঁকা।

 

এই ফাস্টফুডের দোকান থেকে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে আর যাই হোক খুশি থাকা যায় না ।তবে অরুণবাবু জানেন খুশি কিভাবে থাকতে হয় । খুশির রহস্য কি ?তিনি জানেন তার শিল্পই তার কাছে থেরাপির মত .।

0;32-0;51—-1;05

তাই দিন শেষে ক্যাশ বাক্স খুলে মন খারাপ হলেই রং তুলি নিয়ে বসে পড়েন তিনি । বিভিন্ন রঙে ক্যানভাস ভরিয়ে তুলতে তার দুনিয়া।

 

 

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *