রাখে হরি মারে কে
বিধাতার লিখন খন্ডাতে পারে এমন শক্তিমান আছে কেউ!
হয়তো কথা ছিল এভাবেই ফিরবে সে ঘরে
হয়তো ঠিক ছিল হাজারো দুঃসংবাদের মধ্যে মুখে হাসি ফুটবে এক পরিবারের
হয়তো কথা ছিল হাজারো মৃতদেহের মধ্যে একমাত্র তার দেহেই থাকবে প্রাণ
তাই বছর খানেক আগে নিখোঁজ হলেও তার খোঁজ পাওয়া গেল করমন্ডল দুর্ঘটনার পর
দুর্ঘটনা দৌলাতেই নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পেল পরিবার
করমন্ডল দুর্ঘটনা একাধিক প্রাণ কাড়লেও
কোলের ছেলেকে ফিরিয়ে দিল কোলে।
করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে শতাধিক । কোল খালি হয়েছে সহস্র মায়ের। অশ্রু ঝরেছে শত শত স্ত্রীর তবে হাজারো ঝরে পড়া পাতার মাঝে এ যেন এক সবুজ পাতা। হাজারো দুঃসংবাদের মাঝে করমন্ডল দুর্ঘটনা এই পরিবারের জন্য জানো আশীর্বাদ। হয়তো এমনই লেখা ছিল বিধাতার লিখন এ। ছেলে হারিয়ে গিয়েছে বহুদিন আগে ,তার নামের আগে পড়েছে নিখোঁজের তকমা । ছেলেকে ফিরে পাওয়ার সমস্ত আশাই প্রায় শেষ পরিবারের কাছে। তার মাঝে হঠাৎই করমন্ডল দুর্ঘটনায় আহতদের তালিকায় ছেলেকে ফিরে পেল এই পরিবার।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলতা এক নং গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন উত্তর কাঠুলিয়ার সরকার পরিবার সাক্ষী থাকল মিরাক্কেলের।
Byte, :
আর পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিকের মতোই ভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিতে হয়েছিল তাকে। দুপয়সা বেশি রোজগারের নেশায় স্ত্রী, বাচ্চা, মাকে ছেড়ে দূরে চলে যেতে হয়েছিল তাকে। তারপর কেটে গেছে দুবছর।
0;05-0;24 baccha
একবছর আগে পরিবারের কাছে ফেরার সময় চেন্নাই স্টেশন থেকেই একেবারে নিখোঁজ হয়ে যান সরকার পরিবারের যুবক রতন। তারপর একটানা একটা বছর ধরে কতই না খোজাখুঁজি বিভিন্ন প্রশাসনিক মহলে দিনের পর দিন পরিবারের ছেলেকে পাইয়ে দেবার আর্তনাদ। একটা সময়ে গিয়ে সবটাই শেষ।
Byte0;012-0;48 baba
কথায় আছে শেষ থেকে শুরু । রতনকে ফিরে পাওয়ার সমস্ত আশা যখন শেষ। তখনই ঘটল সেই মীরাক্কেল।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে হারিয়ে যাওয়া রতন কে ফিরে পেল পরিবার।গত ২ রা জুন উড়িষ্যার সেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন উত্তরবঙ্গের বহু পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শুরু করে কর্মসূত্রে যাওয়া মানুষজন। তাদের দলেই যেন রয়েছে রতন -দাবি পরিবারের।
গত তিন দিন আগে ফেসবুকের একটি পোস্টে নিজের স্ত্রী ,বাবা-মা ,প্রতিবেশীরা, রতনের গুরুতর জখম অবস্থায় ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার খবর পায়। তারপর ই যেন আশার প্রদীপ ফের জলে ওঠে তাদের মধ্যে।
কোনরকম সময় অপচয় না করে তার স্ত্রী পিঙ্কি সরকার শিলিগুড়ি থেকে ট্রেন ধরে সটান উপস্থিত সেই ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে। নিজের স্বামীকে নিজের চোখে একবার দেখার তাগিদে কয়েকশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে সঙ্গে ছোট্ট একটি শিশু।
0;00-0;26 maa
0;00-0;34 bou
অন্যদিকে গ্রামের স্থানীয় প্রশাসন তথা এলাকার উপপ্রধান দ্রুত সরকারি সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন। গোটা ঘটনার বিবরণ ইতিমধ্যেই প্রতিনিধি মারফত জলপাইগুড়ি জেলাশাসক কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কে দিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন।
1;58-2;50 table neta
Leave a Reply