বয়স ৯০
শরীরে মজ্জায় মজ্জায় ঘুন ধরেছে
তবু আজও ভোটে তার কথা শুনলে বিরোধীদের গলা শুকায়
মাঠে নেমে কোনদিন হারেনি, গোপাল বাবু
যতবারই পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন ততবারই জয়ধ্বাজা উড়িয়েছেন নিজের দলের
কোন দল পছন্দ না হলে নির্দলে দাঁড়িয়েছেন
গোপালবাবু একাই ১০০
তার দরকার পড়ে না কোন দলের।
বর্তমানে তিনি রয়েছেন তৃণমূলে
পঞ্চায়েত ভোটে সবচেয়ে প্রবীণ প্রার্থী গোপাল ।
গোপাল বাবু প্রার্থী হয়েছেন এই একটা কথাই যথেষ্ট বিরোধীদের জন্য।পঞ্চায়েত নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে থেকে দেখেছেন নিজের চোখে। ৫০ বছর ধরে সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে। বয়স তার ৯০ হলেও এখনো পর্যন্ত বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে তিনি অদ্বিতীয় । তার কথা শুনে বিরোধী প্রার্থীরা ভয় মরে।না কোন দাঙ্গা কিংবা মারপিট নয় রাজনীতির ময়দানে তার অভিজ্ঞতা আর তার প্রতি মানুষের ভালোবাসাই যথেষ্ট ভোটে তাকে জেতাবার জন্য। তাই ৯০ এ পায়ে দেওয়ার পরও তার দাপট একেবারেই কমেনি গ্রামে। তৃণমূলের দলীয় প্রতীক নিয়ে এবারেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নন্দনপুর পঞ্চায়েতের ৩০৫ বুথের গোবিন্দ নগরের বাসিন্দা গোপাল নন্দী।
Byte 0;40-1;04
আশ্চর্যের বিষয় প্রবীণ এই পঞ্চায়েত প্রার্থী কে নিয়ে শুধুমাত্র যে আত্মবিশ্বাসী দলের লোকেরাই তা নয় আত্মবিশ্বাসের সহিত বিরোধীদলের লোকেরা ও জানে ৩৪ বছরের বাম জামানাও দমাতে পারিনি গোপাল বাবুকে। শুরু কংগ্রেসের হাত ধরে ,বর্তমানে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য । এমনকি যাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি সেই গোপাল নন্দী। তাই তার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ভোটে দাঁড়ানোই বড় ব্যাপার বিরোধীদের কাছে।
Byte0;56-1;42
তবে ৯০ বছরের জীবনে এখনো পর্যন্ত নিজের ছন্দে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন জীবন। একেবারে ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর সাইকেল চালিয়ে গোটা গ্রাম ঘুরে বেড়ানো। এভাবেই তিনি পৌঁছে যান মানুষের কাছে ,গোপাল বাবু আজ কারো দাদা কারো দাদু কারো প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে একদিকে যখন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নাম, প্রতীক চিহ্ন নিয়ে শুরু হয়েছে প্রচার ঠিক তখন তার গ্রামে গোপাল বাবু বলতেই মানুষ জানে সমস্তটা, তাই গোপালবাবু আর জয় এই মুহূর্তে সমার্থক শব্দ।
Leave a Reply