একই পরিবারের দুই ভাই
রয়েছে রক্তের সম্পর্ক
রয়েছে পারিবারিক টান
অথচ পঞ্চায়েত ভোটে একই বুথে দাঁড়িয়ে লড়বে তারা
একজন তৃণমূল অন্যজন বিজেপি
রাতারাতি ভাই ভাইয়ের সম্পর্ক বদলে গেল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
ভাই থেকে সরাসরি সাপে নেউলে
রাজনীতি কি না পারে!
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে এমনিতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি প্রত্যেকটি কেন্দ্রে কোন প্রার্থীর বিপক্ষে কোন প্রার্থীকে দাঁড় করালে ভোটে জেতা সম্ভব তা বিচার করেই প্রার্থী দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। তবে নদীয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের শিব নিবাস গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপাড়া ব্লকের 102 নং বুথে বিরোধী প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছে একই বাড়ির দুই ভাই ।বড় ভাই সমীর কুমার দাস এবং ছোট ভাই বিকাশ চন্দ্র দাস। এনারা একই পরিবারের দুই ছেলে, তথা ভাই । ছোট থেকে একসাথে হয়েছেন বড়। রয়েছে পারিবারিক টান। তারপরও তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন। বেছে বেছে সাপে নেউলের সম্পর্ক বেছে নিলেন তারা। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে একজন তৃণমূল অন্যজন বিজেপির প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালেন।
Byte
গত বিধানসভা ভোটের মাধ্যমে জানা যায় এই চত্বরে বিজেপির ঘাঁটি যথেষ্ট শক্ত ।সেই ভিতকে নড়াতেই শক্ত পোক্ত প্রার্থী হিসেবে বাড়ির ছোট ছেলে ,কাঠের ব্যবসায়ী সমীর বাবুকেই দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস
। পাশাপাশি আসনটিকে ফের নিজেদের দখলে রাখতে দাস পরিবারের বড় ছেলে পেশায় টোটো চালক তথা বাড়ির ছেলে বিকাশ চন্দ্র দাসকে প্রার্থী হিসাবে বাছাই করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।
Byte
কার্যত একই পরিবারের দুই ভাই প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে ভোটে লড়বে। এই কথা জানতে পেরেই আলোড়ন পরে গিয়েছে এলাকায় । তখনই প্রশ্ন উঠছে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে মাঠে নামলে রাজনৈতিক টানাপোড়নের প্রভাব তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কে পড়বে কিনা? যদিও সুকুমার এবং বিকাশ বাবুর সাফ কথা সম্পর্ক সম্পর্কের জায়গায় ,রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়।
Byte:0;00-0;15 bjp
Byte-0;00-0;15 tmc
অন্যদিকে এই একই বুথ থেকে দুই ভাইকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করানো দুর্দান্ত কূটনৈতিক বুদ্ধির উদাহরণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে দাঁড় করাতে পারলে লড়াই কঠিন হতে পারে। তাই নিজেদের নিজেদের দলের জয় সুনিশ্চিত করতে এমনি পন্থা ব্যবহার করেছেন বিজেপি, তৃনমূল।
এখন দেখার বিষয় কোন ভাইয়ের এলাকায় দাপট বেশবেশি? ব্যক্তি হিসেবে না রাজনৈতিক রঙ দেখে মানুষ পঞ্চায়েত প্রধান পছন্দ করবে।
যদিও নির্বাচন নিয়ে একশো শতাংশ আশাবাদী তারা।
Leave a Reply