টানা পাঁচবার পঞ্চায়েত সদস্য ।
বয়স তার সত্তোর
এ ৭০ বছরের জীবনে পাইয়ে দিয়েছেন একাধিক আবাস যোজনার বাড়ি।
অথচ আজ বৃষ্টি হলেই খাটের তলায় আশ্রয় নিতে হয় পরিবারকে।
আশির দশকে কৃষক আন্দোলন থেকে বর্তমান বঙ্গ রাজনীতি।
সাক্ষী থেকেছেন সরকার পতনের
প্রায় এক যুগ ধরে পঞ্চায়েতের দায়িত্ব ছিল তার হাতে।
সাদা ধুতিতে আজ পর্যন্ত রঙ লাগতে দেননি দুর্নীতির।
না বাড়ি, না গাড়ি, শুধু রয়েছে লাল পতাকা, আর মনোবল
চেনেন সততার এই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর কে
এই বাম প্রার্থী
বিজয় মন্ডল?
রাজনৈতিক নেতা মানেই ঘুষখোর, দুর্নীতিগ্রস্ত বর্তমানে রাজনীতির ময়দানে দুর্নীতির মায়াজাল যেভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছে তাতে মানুষের মনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে এমনই কিছু ধারনা তৈরি হয়েছে। তবে যে ব্যক্তির কথা আজ হচ্ছে তিনি সত্যি ব্যতিক্রমী। ৭০ বছর ধরেই তার পরনে ধুতি পাঞ্জাবি ।বামপন্থি মানুষ তিনি।
Byte0;00-0;07 sada
যুগের পর যুগ কেটেছে বদলে গিয়েছে সরকার.।তবু বদলাইনি তার নিষ্ঠা, তার কর্তব্যপরায়নতা, দাগ লাগেনি তার সাদা ধুতিতে কোন দুর্নীতির ।মানুষের চাহিদায় এবার পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দিলেন বছর 70 এর বিজয় মন্ডল।
Byte0;00-0:20 sobuj
তিনি নিজেই রাজনীতি করেছেন ছোট থেকে। আশির দশকে কৃষক আন্দোলন দেখেছেন, দেখেছেন বাম জামানার অবসান ,তবু পঞ্চায়েতের হাল তিনি ধরে রাখতে পেরেছেন দশক ধরে ।শান্তিপুর গয়েশপুর পঞ্চায়েতের আলুইপাড়া এলাকার বাম আমলের তিনবারের পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় মন্ডলের। শুধু কি তাই!মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় দুই বৌমাকে দিয়ে আরো দশটি বছর অর্থাৎ মোট ২৫ বছরের গ্রাম শাসন ছিলো তার হাতেই।
Byte
তবে এত বছর ধরে পঞ্চায়েতের শীর্ষে থাকার পরেও মাথার উপর পাকা ছাদ তৈরি করতে পারিনি বিজয় বাবু। না তৈরি করেছেন কোন অট্টালিকা। তিনি খুশি তার মাথার উপর ফাটা ছাউনি নিয়ে । থাকার মধ্যে শুধু রয়েছে লাল পতাকা । আর অদম্য মনোবল । ক্ষেত-খামারী করেই দিন যায় তার ।
3;09- 3:39 sada
তবে ৭৪ বছরের বিজয় বাবুকে আবারো পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে দেখতে চায় এলাকার মানুষেরা। তাই আবারও জনগণের ইচ্ছায় ৭৪ বছর বয়সে পঞ্চায়েত গড়ার আহব্বানে আবারো সামিল হয়েছেন ৭৪ বছরের অপরাজেয় বিজয় মন্ডল।
Leave a Reply