রাজনীতির ময়দানে নয়
মিমির সবচেয়ে বড় শত্রু মিমির বাড়িতেই
মেয়ে তৃনমূলে হওয়া সত্বেও কংগ্রেস,সিপিএমে যোগদান করল পরিবার।
চক্রবর্তী পরিবারে রাজনৈতিক রেষারেষি
কেউ কংগ্রেস তো কেউ সিপিএমে
রাজনীতি কি না পারে?
পরিবার ই এখন সবচেয়ে বড় শত্রু
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। রাজ্যের শাসকবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইতিমধ্যেই প্রার্থী দিয়েছেন। এবারের এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ রয়েছে আগামী ৮ জুলাই। আর তার আগে ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হওয়ার দিন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ছবি দেখতে পাওয়া যায়, সেই অশান্তি এখনো জিইয়ে রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে এরই মধ্যে এক অদ্ভুত কান্ড ধরা পড়লো তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর মামার বাড়িতে। যেখানে দেখা গেল তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেস মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে।
টলিউড অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর মামার বাড়ি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন পান্ডা পাড়ায়। এই পরিবারের তিন তিন জন সদস্য এবার পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পঞ্চায়েতে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মিমি চক্রবর্তীর তিন মামি। তবে মিমি চক্রবর্তীর তৃণমূল সাংসদ হলেও তিন মামি কিন্তু দাঁড়িয়েছেন আলাদা আলাদা রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসাবে।
মিমির ছোট মামী পুনম চক্রবর্তী দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে। মেজ মামি পর্ণা নাগ চক্রবর্তী দাঁড়িয়েছেন সিপিআইএম দলের প্রার্থী হিসেবে এবং বড় মামি কান্তা চক্রবর্তী কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। মিমি চক্রবর্তী একজন তৃণমূল সাংসদ হলেও তার নিজের বাড়িতেই এইরকম রাজনৈতিক রেষারেষি রয়েছে তা হয়তো কেউ ভেবে উঠতে পারবেন না।
মিমি চক্রবর্তীর মামার বাড়ি অর্থাৎ তিন মামি এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন পান্ডাপাড়ার ১৭/১৫৫ আসনে। একই পরিবারের তিনজন তিন দলের প্রার্থী হওয়ার পাশাপাশি তিনজনই ১০০ শতাংশ আশাবাদী নিজেদের জয় নিয়ে। তবে রাজনৈতিক ভেদাভেদ থাকলেও সম্পর্কে কোন ফাটল ধরবে না বলেই তারা জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি ভোটের ময়দানে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলেও, আলাদা আলাদা দলের হয়ে প্রচারে বের হলেও বাড়ি ফিরে তিনজনকেই ফের গলায় গলায় দেখা যাচ্ছে।
Leave a Reply