গায়ে উর্দি কোলে সদ্যোজাত
সমাজ রক্ষার দায়িত্বের পাশাপাশি তার দায়িত্ব তার সন্তানকেও রক্ষা করা
কিন্তু কোন কর্তব্য আগে ?
মায়ের না পুলিশ দিদির
তিনি একহাতে অন্নপূর্ণা ,অন্য হাতে দুর্গা
এক কোলে সন্তান অন্য হাতে বন্দুক
তিনি জানেন মাতৃস্নেহ, তিনি পারেন দুষ্টের দমন
প্রতিদিন কোলের শিশু নিয়েই পুলিশের চাকরি করছে কান্দির এই সাব ইন্সপেক্টর
মা ,নেহাত ছোট্ট একটি শব্দ তবে এই ছোট্ট শব্দের মাহাত্ম্য গোটা দুনিয়া জানে। যার থেকেই এই সমগ্র বিশ্বের বেশি সৃষ্টি । তবে মা যে মেয়েও , একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে প্রায় প্রত্যেক পরিবারের মেয়েরাই আজ স্বাধীন, সংসারের বাইরে চাকুরী জীবন সামলাতে তারা জানে। একা হাতে কিভাবে মানুষ করতে হয় সন্তান তাও জানা তাদের।সংসার সন্তান সমাজ এই তিন নিয়েই তার নিত্যদিনের কাজ । গত কয়েক মাসে বেশিরভাগ সময় মানুষ তাকে দেখেছে কোলেলে সদ্যোজাত কে নিয়ে। অথচ তার পরনে উর্দি, দায়িত্বে তিনি অবিচল। কান্দির একটি মনোনয়ন কেন্দ্র দেখা গেল এক মাকে, এক পুলিশকে। তাকে দেখে ঠিকই বলা যায় আপনি বলুন।
– মহকুমা শাসক করন দপ্তরে মনোনয়ন চলছিল সকাল থেকেই। হঠাৎ নজরে এলো এক মহিলা পুলিশ অফিসারকে বাচ্চা কোলে। তিনি হলেন কান্দি থানার সাব ইন্সপেক্টর শতাব্দী মজুমদার, খড়গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে তিনি এই পেশায় নিযুক্ত। বর্তমানে পুলিশে কর্মরত হওয়ার পাশাপাশি উনি একজন মা। কোলে ৮ মাসের শিশুকে নিয়ে ডিউটিরত দেখা গেল মহকুমা শাসক করন দপ্তরের গেটের বাইরে
, byte
একে তো গরম তার উপরে মাথার ওপর বিশাল বড় দায়িত্ব তবে একেবারেই জীবন বিমুখ নয় শতাব্দী। অন্যদিকে মা ছাড়া এক কদম চলতে নারাজ ছোট্ট শিশু
শতাব্দি জানায় প্রতিদিন ডিউটিতে বেরোবার সময় জামাকাপড় পড়লেই কেঁদে ওঠে সন্তান। সে জানে জামা কাপড় পরা মানেই মা বেরোবে। তবে সমাজের অন্যান্য মানুষকে বুঝিয়ে বাগে আনতে পারলেও এই একটা জায়গায় হারতেই হয় শতাব্দিকে। কিছুতেই ঠিক তার ছোট্ট কে সে বুঝে উঠতে পারেনা সে তাই বাধ্য হয়েই তাকে নিয়ে আসতে হয় ডিউটিতে.
Byte
। ২০০৮ সাল থেকে তিনি এই কর্মে রত। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি কনস্টেবল ছিলেন কান্দি থানায়। ২০১৩ সালে পরীক্ষা দেন উচ্চপদের জন্য। সেখানে পাশ করে সাব ইন্সপেক্টর হন। বিভিন্ন থানায় ডিউটি করার পর তিনি বর্তমানে দেড় মাস থেকে কান্দি থানায় নিযুক্ত হয়েছেন। ওনার স্বামী দেশের সেবায় নিযুক্ত একজন আর্মি অফিসার।
এ বিষয়ে কান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি সুভাষ চন্দ্র ঘোষ জানান, ম্যাটারনিটি লিভ না নিয়ে যে ডিউটি করছেন সেটা সম্পূর্ণ ওনার ব্যক্তিগত বিষয়। যেহেতু ভোট চাপ রয়েছে তাই উনি ডিউটি করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে থানার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগীতা রয়েছে। তবে এমন একজন পরিশ্রমী অফিসার পেয়ে আমরা খুশী।
Byte
Leave a Reply