Sasok

শাসকদলের দাবি মমতার সরকার আসার পর লোড শেডিং নামক কিছু নেই বঙ্গে

অন্যদিকে গত কয়েক দিনের মধ্যেই বিদুৎ বিভ্রাট দেখা গেল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে

দাবি বনাম সত্যি

অন্যদিকে লোড শেডিং এ জেরবার হয়ে বিক্ষোভের পথে

বৈদ্যবাটির মানুষেরা।

রাস্তা জুড়ে বিক্ষোভ

প্রশ্নের মুখে প্রশাসন

 

 

 

 

বাইরে চরম তাপপ্রবাহ ।দু কদম হাঁটতে গিয়ে মানুষের জীবন যায় যায় অবস্থা । এমতাব্তায় ঘরে থেকে যদি সইতে হয় লোডশেডিং তাহলে ভগবানকে বোধহয় গালমন্দ করতে ছাড়ে না পৃথিবীর কেউ। ভাবুন তো বাইরে ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা। এসি ,এমনকি ফ্যান এই সমস্ত ছাড়া আপনি রয়েছেন ঘরের ভেতর। নিশ্চয়ই কল্পনা করতে কষ্ট হচ্ছে আপনার । তবেই ভাবুন।

দীর্ঘদিন ধরে এমনই সমস্যায় ভুগছে হুগলির বৈদ্যবাটির মানুষেরা। রাত কিংবা দুপুর যখন তখন চলে যাচ্ছে কারেন্ট আর একবার গেলে ঘন্টাখানেকের কাছাকাছি আসার কোন নাম নেই ।বারংবার অভিযোগ জানানো হলেও কোন শুরাহা হচ্ছে না তার । অবশেষে রাগে ক্ষোভে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করল বৈদ্যবাটির মানুষেরা ।

 

প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে চরম দুর্ভোগে পরছেন নাগরিকরা। প্রতিবাদে হুগলির বৈদ্যবাটি পৌরসভা এলাকায় চাতরা নগারমোড় অঞ্চলে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের অফিসের সামনে জিটি রোডে বসে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বৈদ্যবাটির ২০ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দারা।

Byte

তবে শুধু বৈদ্যবাটি নয় কলকাতার একাধিক অংশেও এই একই চিত্র ধরা পড়েছে কয়েকদিন আগেই। যথারীতি এর পরেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে শাষক দলের ভূমিকা উপর তাদের দাবি তৃণমূল বারংবার দাবি করে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসবার পর থেকে বঙ্গে লোডশেডিং এর প্রবণতা একেবারেই কমে গেছে তাই যদি হয় তাহলে এই চরম গরমেও কেন সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

তার মাঝে ঘটে গিয়েছে এক কাকতালীয় ঘটনা ।বেশ কিছুদিন আগেকার দেবাংশু ভট্টাচার্যের এক ভিডিও নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল দরজা। যে ভিডিওতে দেবাংশ কে বলতে শোনা যাচ্ছে মমতা সরকার আসবে পর থেকেই কমে গেছে লোডশেডিং এর প্রবণতা বর্তমানে এই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ার আনাচে-কানাচে।

Video

অন্যদিকে লোডশেডিং কে ইস্যু বানিয়ে সুর চরিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীও এদিন তিনি বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কার্যত বিদ্যুৎ চুরির স্লোগান তোলেন শাসক দলের বিরুদ্ধে.।

Byte

 

অন্যদিকে দীর্ঘদিনের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে

মূলত তিন দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয় বৈদ্যবাটি পৌরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের পৌর সদস্য হরিপদ পাল এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। দিনে বারংবার লোডশেডিং, ভোল্টেজ আপ ডাউন রাতেও বিদ্যুৎ থাকছে না।দ্রুত সুরাহার দাবী জানানো হয় বিদ্যুৎ দপ্তরকে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *