আরো বড় দুঃসংবাদ
এখনই মিলছে না বর্ষার স্বাদ
সাধারণত জুন মাসের ১ তারিখ কেরলে মৌসুমী বায়ুর আগমন ঘটে। মৌসুমী বায়ুর আগমন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঢুকে যায় বর্ষা (Monsoon)। তবে এই বছর নির্ধারিত সময়ের থেকে ৭ দিন দেরিতে কেরলে বর্ষার আগমন ঘটলো। তীব্র তাপপ্রবাহ, গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেরিতে হলেও বর্ষা ঢোকায় আশার আলো দেখছে গোটা দেশ। দেশের পাশাপাশি বর্ষার দিকে তাকিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গ বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। পশ্চিমের জেলা যেমন বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম তীব্র তাপপ্রবাহে তটস্থ। এর পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা সহ অন্যান্য জেলাগুলিতেও গরমে নাজেহাল অবস্থা বাসিন্দাদের। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকেই তাকিয়ে রয়েছেন বর্ষার আগমনের দিকে।
তবে কেরলে বর্ষার আগমন ঘটলেও হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে তাতে তা খুব একটা খুশির খবর হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। কারণ মৌসুমী বায়ু খুব দুর্বল অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে মৌসুমী বায়ুর দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং এই দুর্বলতা কাটিয়ে সক্রিয় হতে অন্ততপক্ষে আরও দুদিন সময় লাগবে বলে হাওয়া অফিসের (IMD) দাবি।
অন্যদিকে কেরল বাদ দিয়ে বাকি ভারতের কোন কোন অংশে কবে বর্ষার আগমন ঘটবে তা প্রসঙ্গে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টায় কেরলের পাশাপাশি কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, উত্তরপূর্ব ভারত, দক্ষিণ-পশ্চিম, মধ্য, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে বর্ষা প্রবেশ করবে। এখন প্রশ্ন হল দক্ষিণবঙ্গে কবে ঢুকবে বর্ষা?
এই বিষয়ে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জুন মাসের ১১ তারিখ সিকিম এবং উত্তরবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশের সম্ভাবনা আছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষার আগমন ঘটবে তা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। উপরন্তু দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি থাকবে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
Leave a Reply