বিয়ের মণ্ডপেই তলপেটে ব্যথা, বাসি বিয়েতেই জন্ম দিলেন সন্তান! শোরগোল বিয়ে বাড়িতে

বিয়ের মণ্ডপেই তলপেটে ব্যথা, বাসি বিয়েতেই জন্ম দিলেন সন্তান! শোরগোল বিয়ে বাড়িতে

বিয়ের মণ্ডপেই তলপেটে ব্যথা!
বাসি বিয়েতেই জন্ম দিলেন
সন্তান!

ফুলশয্যার পরেই ফাঁস
নববধূর কীর্তি!

শোরগোল বিয়ে বাড়িতে
ভাঙল নবদম্পতির বিয়ে!

কোথায় ঘটল এমন কাণ্ড?
কি ঘটল এরপর?

সবে মাত্র সম্পন্ন হয়েছে নব দম্পতির বিয়ে। তখনও কাটেনি বিয়ের রেশ। জোর কদমে বাজছে সানাই। প্রস্তুতি চলছে বাসি বিয়ের। আসরেও বসে গেছেন সদ্য বিবাহিত যুগল। পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ করতে যাবেন, তখনই ঘটল বিপত্তি। আচমকা অসহ্যকর ব্যাথা নববধূর তলপেটে। যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করেন নতুন বউ। ব্যাস আর কি! দেরী না করেই, তৎক্ষণাৎ নব বধূকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন বাড়ির লোক। উপস্থিত ছিলেন বাপের বাড়ি, শ্বশুর বাড়ি উভয় পক্ষের লোকজন। তখন সবাই ভেবেছেন, খালি পেটে হয়ত গ্যাসের ব্যাথা উঠেছে। কিন্তু নাহ! চিকিৎসকের রিপোর্ট আসতেই মাথা ভন ভন আত্মীয় স্বজনদের। তাজ্জব ছেলের বাড়ির লোকেরা। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানালেন, নববধূ অন্তঃস্বত্বা। সাত মাসের প্রেগনেণ্ট। ঘটনায় রীতিমত আকাশ ভেঙে পড়ে উপস্থিত অতিথিদের মাথায়। বাসি বিয়ের দিন তীব্র ব্যাথা ওঠায়, তড়িঘড়ি সন্তানও প্রসব করেন ওই নববধূ। জন্ম দেন ফুটফুটে কন্যা সন্তান।

শুনতে অবাক লাগলেও, এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে তেলঙ্গানা। তেলঙ্গানা নিবাসী এক মেয়ের সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন গ্রেটার নয়ডা নিবাসী এক ছেলে। বিয়ের পর, বাসি বিয়ের দিন ফাঁস হয়ে যায় নতুন বৌয়ের অন্তঃস্বত্বা হওয়ার কথা। অবশ্য এরপর এক মুহূর্ত দেরী না করেই বিয়ে ভেঙে দেয় ছেলের পরিবার। মেয়ের পরিবারের দাবি, বিষয়টি তারা আগে থেকেই জানতেন। কিন্তু মেয়ের ভবিষ্যৎ ভেবেই চেপে যান ঘটনাটি। জানা যায়, ছেলের বাড়ি থেকে আগে থেকেই সন্দেহ করা হয় বিষয়টি। ওই নববধূর পেট ফোলা দেখে কারণ জানতে চান। তখন মেয়ের বাড়ির লোকেরা নাকি যুক্তি দেন, ক’দিন আগেই অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে পাথর বার করা হয়েছে, তাই পেট ফোলা দেখাচ্ছে। সে সময় বিষয়টি সত্যি বলে মেনে নিলেও, বাসি বিয়ের দিন সত্য জানার পর বেজায় ক্ষেপে যায় ছেলের বাড়ি লোকেরা।

ঘটনাটি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় তেলেঙ্গানায়। এ ব্যাপারে অবশ্য পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি ছেলের পক্ষ। তবে বিয়ে ভেঙে দেয় ছেলের পক্ষ। এর পর কন্যা সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ওই নববধূ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *