আরও বড় মারাত্মক অভিযোগে ফাঁসল ‘কালীঘাটের কাকু’! রীতিমত ভিমরি খাচ্ছে ইডি আধিকারিকেরা, ঠিক কি কাণ্ড ঘটেছে?

আরও বড় মারাত্মক অভিযোগে ফাঁসল ‘কালীঘাটের কাকু’! রীতিমত ভিমরি খাচ্ছে ইডি আধিকারিকেরা, ঠিক কি কাণ্ড ঘটেছে?

আরও বড় মারাত্মক অভিযোগে
ফাঁসল ‘কালীঘাটের কাকু’

বেরিয়ে এলো চালবাজ কাকুর
বড়সড় কুকীর্তি
খুলে গেল মুখোশ

ঘটনায় রীতিমত ভিমরি খাচ্ছে
ইডি আধিকারিকেরা
ঠিক কি কাণ্ড ঘটেছে?

নিয়োগ দুর্নীতিতে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই বেরিয়ে আসছে একের পর রহস্য। আর এই তদন্তকে সবচেয়ে বেশি জোরালো করেছে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। কালী ঘাটের কাকু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বেরিয়ে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডির তরফে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সুজয়কৃষ্ণকে। এবার কাকুর বিরুদ্ধে বেরিয়ে এলো আরও বড় মারাত্মক অভিযোগ। শেয়ারের দামে কারচুপির অভিযোগ উঠল ‘কালীঘাটের কাকু’র বিরুদ্ধে।

ইডির হাতে আসা তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, অনৈতিকভাবে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সংস্থার শেয়ার। আর সুজয়কৃষ্ণের শেয়ার কিনেছে এমন দুটি সংস্থা, যে সংস্থা দুটি রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিসের ‘কালো তালিকাভুক্ত’। এই সংস্থা দুটির কাছেই কম দামের শেয়ার মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বিক্রি করে টাকা তুলেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এখানেই ইডির সন্দেহ কম দামের শেয়ার কেন বেশি দামে কিলন ওই দুটি সংস্থা। এখানেই লুকিয়ে আছে কালো টাকা সাদা করার চক্রান্ত। তথ্য সূত্রে খবর, ১০ টাকার শেয়ার ৪৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এভাবে শেয়ার বেচে তোলা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। হাওলার মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। আপাতত সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো উঠে আসছে। সুজয়কৃষ্ণ ছাড়াও সংস্থা দুটতে টাকা বিনিয়োগ করেছে আরও তিনটি সংস্থা। তাদের বিনিয়োগের মোট অঙ্ক ৩ কোটি টাকা। বর্তমানে ওই তিন সংস্থার মধ্যে দু’টি বন্ধ রয়েছে। সংস্থাগুলির ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেছে ইডি। উঠে এসেছে বেশ কিছু ‘রহস্যজনক’ লেনদেনের হিসেব।

এই নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে ইডি আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই পূর্বে আদালতে ইডির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, হাওয়ালার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থায় টাকা লেনদেন করেছেন কালীঘাটের কাকু। চারটি সংস্থা একা নিয়ন্ত্রণ করতেন সুজয়কৃষ্ণ। এই সংস্থাগুলোর মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে প্রায় কোটি কোটি টাকা। এই সমস্ত তথ্য নতুন করে ভাবাচ্ছে গোয়েন্দা আধিকারিকদের। অনুমান করা হচ্ছে, এগুলো এখনও ট্রেলার, পিকচার এখনও বাকি আছে। তদন্ত এগোলে বেরিয়ে আসতে পারে আরও অনেক নতুন মুখ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *