২২ ঘণ্টা পরেও নিয়ন্ত্রণে নেই ধসের ধোঁয়া,
মেশিন দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বিষাক্ত গ্যাস রোখার চেষ্টা
বাতাসে ক্রমশ মিসছে বিষাক্ত গ্যাস
বাসস্থানের খুব কাছ থেকেই মিশ্রিত হচ্ছে ধোঁয়া
আতঙ্কে ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের
ফের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। তিন বছর আগে দেখা দুঃস্বপ্ন আবার যেন ফিরে এলো। বাতাসে বিষাক্ত গ্যাস, ধোঁয়া। পরিত্যক্ত খনি হঠাৎই উঠলো জেগে। সোমবার ঠিক দুপুর ২ টো নাগাদ হরিশপুর গ্রামের ঝরে পাড়া এলাকা থেকে ৫০ মিটার দূরে ইসিলের একটা পরিত্যক্ত খনি গহ্বর থেকে বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। । হঠাৎ 40 বছর পুরোনো পরিত্যক্ত খনি থেকে কালো ধোঁয়া সাথে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কবলিত গ্রাম হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দারা। গোটা 22 ঘন্টা ধরে আর লাগাতার প্রচেষ্টার পরও কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না বিষাক্ত গ্যাস। মেশিন দিয়ে মাটি বন্ধ করার পরও হচ্ছে না শেষ রক্ষা। আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর।
Byte
তবে এই দিন দীর্ঘক্ষণ ধরে ওই খনি থেকে বিষাক্ত গ্যাস নিঃসৃত হচ্ছে তা দেখতে পেয়েই সত্তর প্রশাসনকে খবর দেয় এলাকার লোকজন। ইসিএল কর্তৃপক্ষ সেখানে এসে সেই খনি ভরাট করতে চাইলে প্রথমে বাধা দেয় গ্রামবাসীরা ,তাদের দাবি আগে পুনর্বাসন পরে ভরাটকরন।
Byte
যদি ও পরবর্তীকালে নিজেদের সুরক্ষার জন্যই ইসিএলকে ওই খনি ভর্তি করার অনুমতি দেয় গ্রামবাসীদের একাংশ তারপরেই রীতিমতো 23 ঘণ্টার লাগাতার প্রচেষ্টার পর বন্ধ করা সম্ভব হয় ওই খনি।, তবে প্রশ্ন হল মানুষ কেন বিক্ষোভ দেখালো.?
প্রসঙ্গত ২০২০ সালে ওই এলাকাতেই ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা ঘটে ।সেই সময় ইসিএলের খনি থেকে কয়লা উৎপাদনের কারণেই সর্বস্বান্ত হয়েছিল হরিশচন্দ্র গ্রামের মানুষজন। প্রতিশ্রুতি মিলেছিল যত দ্রুত সম্ভব পুনর্বাসন দেয়া হবে তাদের তারপর কেটে গেছে তিন বছর। অথচ বাস্তবে কোন কাজই হয়নি। স্বজন হারারা আজও একা।
তাই তাদের দাবি যত দ্রুত সম্ভব দেয়া হোক পুনর্বাসন।
Byte
Leave a Reply