হঠাৎই লাশের স্তূপ থেকে চিৎকার
মৃতদেহের মধ্যে থেকে হঠাৎ এক হাত যাপটে ধরল উদ্ধারকারীর পা
তারপরেই শোনা গেল এক কাতর আর্তনাদ
আমি মরে যাইনি,
আমাকে জল দিন,বাঁচান”-
হাড় হিম করা ঘটনা!
লাশ হয়ে উঠল জ্যান্ত
করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ভয়ঙ্কর চিত্র।
জীবন বড় আকস্মিক ।এ কথা বারে বারে আমরা শুনেছি ,। মেনেওছি । সম্প্রতি এই কথা যেন আরো ও দৃঢ় ভাবে প্রমাণ করলো করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা। শত শত মানুষের আর্তনাদ ,কান্না ,বাঁচার চেষ্টা। যারা ফিরলেন তারা যেন এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেললেন।
উত্তর ২৪ পরগনার ঝর্ণেখালি গ্রামের বাসিন্দা রবিন নাইয়া তাদের মধ্যে অন্যতম । তবে তার বেঁচে ওঠার কাহিনী শুনলে অবাক হবেন আপনি। ঠিক যেন পুনর্জন্ম।
মরেই গিয়েছিলেন তিনি , নিঃস্বার দেহ । শ্বাস প্রশ্বাস পরছে কিনা তা বোঝাও মুশকিল। এসব দেখেই ধরে নেওয়া হয়েছিল তাকে নিহতদের তালিকায়। বাকি লাশের মতো তাকেও ঢিবি করা হয়েছিল অন্য লাশেদের সাথে। তবে এক চিৎকার, একটা চেষ্টা ,একটা আর্তনাদ বদলে দিল তার জীবন।
Byte0:18-0;36—1;29
জানা যায় দুর্ঘটনার দিন করমন্ডল এক্সপ্রেসে চেপে কর্মসূত্রে অন্ধপ্রদেশ যাচ্ছিল রবিন। সঙ্গে ছিল আরো সাতজন। এ। একই বগিতে সফর করছিলেন তারা। মাঝেই ঘটে যায় এত বড় বিপত্তি। অন্ধকারে বেঁচে আছি এই অনুভব করতে সময় চলে গেছিল বেশ অনেকখানি। ততক্ষণে উদ্ধার কার্য শুরু হয়েছে ।লাশ এবং জীবিতদের আলাদা আলাদা করা হচ্ছে। সেই লাশেদের ঢিবিতেই চলে যায় রবিন্। । জ্ঞান ফিরে সে নিজের অবস্থান বুঝতে পেরেছিল। অল্প চোখ খুলে এসে দেখতে পেয়েছিল পাশে একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। মৃতের ভিড় থেকে হঠাৎ দুই হাত বাড়িয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক উদ্ধারকারীর পা জড়িয়ে ধরেছিল রবিন। ওঠার ক্ষমতা হারিয়েছিল সে। পা ধরে কাতর অনুরোধ “আমি মারা যায়নি। আমাকে জল দিন, বাঁচান।”
Byte0! 56-1:12—-1:29
অবশেষে উদ্ধার করা হয় রবিনকে। তারপর তাকে দ্রুত পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ।সেখানে পৌঁছাতেই চিকিৎসকদের তরফ থেকে জানানো হয় পায়ের সমস্ত হাড় গুঁড়ো হয়ে গেছে রবিনের ।কথা বলার ক্ষমতা প্রায় নেই.।
তবে এত কিছু মাঝেও রবিন ভুলতে পারছে না সেই রাতের কথা। বলতে পারছে না তার আর্তনাদের স্বর। অন্যদিকে রবিনকে ফিরে পেয়ে খুশি পরিবারের লোকেরা
Leave a Reply