মৃত্যু উপত্যকার সাক্ষী থেকেছে সে
দেখেছে সে অগণিত অপরিচিত দেহের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা
দেখেছে সে বাঁচার জন্য মানুষের আর্তনাদ
দেখেছে সে স্বজন হারাদের চিৎকার
ভাগ্যের জোরে নয় চালকের বুদ্ধিতেই এ যাত্রায় বেঁচে ফিরেছে সে
যশবন্তপুর হাওড়া এক্সপ্রেসের অ্যাটেনডেন্টের
অভিজ্ঞতা শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে আপনার।
0;10-0;55 —-6:36
এই ভয়াবহতা এই মৃত্যু এই কান্না বড্ড অপরিচিত। ঠিক খেলনা গাড়ির মতন আসল ট্রেনের কামরা পরছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। চোখের সামনে যাচ্ছে ধুমরে মুচড়ে আর তাতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে একাধিক প্রাণ । এমনই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরল যশবন্ত হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এর আটেনডেন্ট প্রবীর দাস।
Byte1;03-1:21
ওই ট্রেনের এসি কোচ বি৪ এবং বি৫ এর এসি এটেন্ডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। এই এত বড় বিপদ একেবারে চোখের সামনে দেখেছেন তিনি। কোন কোন যাত্রীর কাছে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন হিরো। নিজের জীবন বিপন্ন করে ট্রেনের কামরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বুদ্ধি করে। তাতেই জানে বেঁচেছে একাধিক।
। বিপদজনক পরিস্থিতিতেও নিজের কর্তব্যে অবিচল থেকে যতটুকু সামর্থ্য দুর্ঘটনা গ্রস্ত যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের হাত।
Byte 0;30-1;03
তবে প্রবীর বাবুর কাছে হিরো অন্য কেউ.। প্রবীর বাবু জানান, যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালকের জন্যই আজ নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন। তিনি গতিবেগ ১২০তে তুলতেই বাকি কামরাগুলি রেহাই পেয়েছিল দুর্ঘটনার হাত থেকে।
Byte0;00-0;26
প্রবীর বাবুর পরিবারে রয়েছে এক ছেলে এবং স্ত্রী। টিভিতে এই দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছিল তাদের । অবশেষে স্বামী সুস্থ আছে খবর পেয়ে স্বস্তি নিশ্বাস ফেলে স্ত্রী সহ পরিবার। স্বামী কে আনতে স্ত্রী ও ছেলে ছুটে যায় হাওড়া স্টেশনেও। সুস্থ শরীরে ঘরের মানুষ ঘরে ফিরতেই স্বস্তি পরিবার সহ প্রতিবেশীদের।
Leave a Reply