Chulli

চুল্লিতে দেওয়ার আর আগে মাত্র কিছু মুহূর্ত

কান্নার রোলে কেঁপে উঠছে আশপাশ

পিণ্ড দানের আগে জ্যান্ত হয়ে উঠল মরা

বেঁচে আছে!

হঠাৎ চিৎকার

মরা হয়ে উঠছে জ্যান্ত

আশ্চর্য না চমৎকার না অলৌকিক কিছু

কিভাবে হলো !

দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও।

 

 

কলি যুগে কিনা সম্ভব! শ্যামনগরের কাণ্ড দেখলে আপনিও বলবেন তাই ।মৃত ব্যক্তি ।হাসপাতাল থেকেও মৃত বলে ঘোষণা, চুল্লিতে পড়াবার কিছু মুহূর্ত আগেই জেগে উঠল মরা, শুধু জেগে উঠলো না একেবারে সটাং বসেও পড়ল সে। মুহূর্তের মধ্যেই বদলে গেল চিত্র প্রিয়জনদের কান্না পরিণত হলো বিস্ময় ।বিস্ফারিত নেত্রে তখন বাকিরা তাকিয়ে রয়েছে তার দিকে। এও সম্ভব বলছে অনেকেই

তবে ঠিক কি হয়েছিল?

একাধিক মানুষকে জিজ্ঞাসা করার পর পাওয়া যায় সদোত্তর। ভিডিওতে ভাইরাল শ্যামনগরের এই ব্যক্তিকে সকাল বেলায় মৃত বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের কথা অনুযায়ী প্রিয়জনেরা বেলা দুটোর সময় শ্মশানে নিয়ে আসে তাকে শেষ কৃতকার্যের জন্য। সমস্ত নিয়ম কানুন মেনেই চলছিল প্রক্রিয়া। একেবারে শেষ হওয়ার মুহূর্ত খানেক আগেই মুখ হা করে হাত পা নাড়াতে শুরু করে এই মৃত ব্যক্তি। আর তা দেখেই পিলে চমকে যায় আশেপাশের মানুষদের। এরপর তড়িঘড়ি সেই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারে লোকেরা। অন্যদিকে ততক্ষণে প্রায় শতাধিক মানুষ জমায়েত করেছে শ্মশানে। এমন দৃশ্য তারা এরাকে দেখেনি কোনদিনই।

অনেকেরই প্রশ্ন চমৎকার মিরাক্কেল না অলৌকিক কিছু!

 

যদিও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন বহু ক্ষেত্রে এমন ঘটনার নজির রয়েছে। মৃত্যুর কিছু সময় পরও শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এক ধরনের পেশির টান কাজ করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলে রাইগর মটিস। তবে এ ক্ষেত্রে ঠিক কি হয়েছিল তা অবশ্য পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি।

তবে ঘটনার এখানেই শেষ নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় সত্যিই মারা গিয়েছেন সেই ব্যক্তি তবে মাঝে ঘটেছে অন্য কান্ড।

স্থানীয় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ আধিকারিক জানান, এমন একটি ঘটনার কথা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তিনি। তবে ওই ব্যক্তি জীবিত হয়ে ওঠার মতন কোন ঘটনা ঘটেনি। সকালে ওই ব্যক্তির মৃতদেহের ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করেছিল হাসপাতাল পরবর্তীতে এই কাণ্ড ঘটার পর ফের হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাকে মৃত বলেই পুনরায় শ্মশানে নিয়ে এসে দাহ করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *