,অবশেষে পাওয়া গেল বাঞ্চারামের হৃদিস
শুধু পাওয়াই গেল না জানা গেল তার পদবি
যাকে নিয়ে এত আলোচনা
যার নামে খোলা হয়েছে অন্যতম জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান
সেই বাঞ্ছারামেরই হরিশ পাওয়া গেল নদিয়া শান্তিপুরে।
বাঞ্ছারামের বাগান ১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তপন সিংহ পরিচালিত একটি, অত্যন্ত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করেন মনোজ মিত্র। তাঁরই সাজানো বাগান নাটক অবলম্বনে এই ছবিটি নির্মিত হয়। বাঞ্ছারামের কথা কে না জানে ?বর্তমানে কলকাতার বুকের উপর বাঞ্ছারাম অন্যতম জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান। কিন্তু বাঞ্ছারাম কে? কোথায় তার বাগান? এই খবর নেই অনেকের কাছেই।
নদীয়ার শান্তিপুরে কিন্তু আমরা খুঁজে পেয়েছি বাঞ্ছারামকে। শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আলুই পাড়া বাউসোডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বান্ছারাম ধারা। নাম না জানা বহু পুরাতন বাবুর বাগান বাঞ্ছারামের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। চার ভাইয়ের ভাগের ভাগ হিসেবে পেয়েছেন 35 টি লিচু গাছ সহ বাগানের একাংশ। গাছের গুড়ি গুলো দেখেই বোঝা যায় বেশ কয়েকশ বছরের পুরনো।
Byte
এলাকার মানুষের কাছ থেকে জানা যায়, এই বাগানের লিচুর যেমন স্বাদ, তেমনি তার চেহারা। তাই দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে এই লিচুর টানে। তাই ব্যবসায়ীদের কাছেও রয়েছে এর বিশাল মাহাত্ম্য।
আলুই পাড়ায় পাশাপাশি বেশ কয়েকটি লিচুবাগান আছে যার মধ্যে বাঞ্ছারামের বাগান অন্যতম।
Byte
তবে কি নদীয়ার শ্রেষ্ঠ লিচু এই বাঞ্চারামের বাগানে?
আর সেই বাঞ্চারাম ই কি এই বাঞ্চারাম?
বান্ছারাম ধারা অতশত জানেন না কিছুই, বরং সিনেমার কথা শুনে তিনি বেশ ঘাবড়ে যান। দিনকাল ভাল নয় কোন কথা থেকে কি হয় সেসব ভেবে বাগানের বিষয়ে খুব বেশি মুখ খুললেন না পরিবারও।
তবে প্রতিবেশীরা জানান,শীত গ্রীষ্ম বর্ষা ছাগল চরানোতেই তার ভরসা। সম্পত্তির কথা খুব বেশি আলোচনা করতে চান না বাঞ্ছারাম।
কিন্তু চার ভাইয়ের সমগ্র বাগানটি যে তারা অত্যন্ত যত্নেই রেখেছেন তা বোঝা গেছে।
Leave a Reply