Kannaaaaaa
বাড়ি ফিরছি- শেষ ফোনে এই কথাই বলেছিল ছেলে
ছেলে ফিরছে বাড়ি সেই অপেক্ষাতেই ছিল মা
ছেলের পছন্দ মতো রান্না,
ছেলের জন্য সমস্ত আয়োজন সবই বৃথা তাকে ছাড়া
ট্রেনের চাকার তলায় রয়েছে ছেলে,
আদো বেঁচে আছে কিনা তাই জানেনা জন্মদাত্রী মা
যোগাযোগের সমস্ত মাধ্যম বন্ধ
অবশেষে এক ছবি,
ছবি দেখতে পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা
Kaannnaaaa
এক ট্রেন দুর্ঘটনা যা বদলে দিয়েছে শতাধিক জীবন। বদলে দিয়েছে সমস্ত পরিস্থিতি। কোল খালি করেছে শতাধিক । রক্ত ,অশ্রু জলে ভাসিয়েছে রেললাইন। ঘুম কেড়ে নিয়েছে শতাধিক মায়েদের। নদীয়ার বাসিন্দা সুজয় মাও তাদের মধ্যে একজন। ছেলে বাইরে চাকরি করে তা নিয়ে কম গর্ব ছিল না সুজয়ের মায়ের।
মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকেই বাইরে রয়েছে সে ।সেখানেই চাকরি করে স্বপ্ন দেখছিল সে আরো ভালো করে বাঁচার। কিছু স্বপ্ন হয়েছে পূরণ কিছু রয়েছে বাকি। তার মাঝেই মায়ের কাছে করমন্ডল এক্সপ্রেসে ফিরছিল তরতাজা জীবন সুজয়। ছেলে বাড়ি ফিরছে জেনে ছেলের পছন্দসই খাবার সমস্ত তৈরি করছিলেন মা নিজে হাতে। মাঝে এক ফোন যা বদলে দিল সমস্ত হিসেব।
Byte0;00-0;18
এরপর বারংবার ফোন ,বারংবার একই নম্বর ডায়াল কিছুতেই আর যোগাযোগ করা সম্ভব হলো না। গোটা রাত শুধু প্রহর গোনা এই বুঝি পাওয়া গেল কোন খবর । বাবার সাথে সুজয়ের শেষ কথা শুনলে চোখে জল আসবে আপনার।
Byte:0;00-0;28 baba
মাঝে কিছু ঘন্টা তারপরই ভোররাতে সেই ছবি যা দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুজয়ের মা। জানতে পারেন বেঁচে রয়েছে ছেলে।
Byte1;30 -1;47
সকালে শান্তিপুর থানার প্রশাসন বাড়িতে পৌঁছানোর পর সরকারি বিভিন্ন হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে জানতে পারে ছেলের শারীরিক পরিস্থিতি ভালো নয়। এক নিকট আত্মীয় এবং এক প্রতিবেশী দুর্ঘটনার পরের দিন সকালে রওনা দেয় সুজয়ের চিকিৎসারত হাসপাতালের উদ্দেশ্যে।
নদীয়ার সুজয়ের গোটা পরিবারের শুধু এখন একটাই ইচ্ছে ছেলে ফিরুক বাড়ি। ঘরের ছেলে ফিরুক ঘরে।
Leave a Reply