Rajya

পয়সা বেশি রোজগার করতেই ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছিলেন তিন যুবক

ভিন রাজ্যে দিনমজুরের কাজ করলে ভালো টাকা পাওয়া যায়।

সেই টাকা দিয়ে হবে কারো চিকিৎসা, কারো মেয়ের বিয়ে

Byte;0;46-0;55

এক উদ্দেশ্যে নিয়েই পরিবার পরিজনের থেকে দূরে যাচ্ছিলেন তারা।

মাঝে ট্রেন বিপর্যয়

সমস্ত হিসেব সমস্ত প্রতিশ্রুতি নিমেষে এলোমেলো

কেমন আছে তারা?

0;23-0;29

লাশটুকু পাওয়া গেলেও তবু হতো

দুর্ঘটনার তিনদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেল ছেলেদের কোন খোঁজ নেই।

উৎকণ্ঠায় দুশ্চিন্তায় জেরবার পরিবারের লোক

কোথায় গেল ছেলে

আর দেখা হবে তো?

0;41-0;43 lok

 

 

চারিদিকে শুধু কান্না, হাহাকার, আর লাশ। এর মাঝে কে আপন কে পর তা বোঝাই দায়। মৃত্যু স্তূপে দাঁড়িয়ে নিজের আপনজনদের সনাক্ত করতেই কাল ঘাম ছুটে যাচ্ছে আত্মীয়দের। বেঁচে থাকার আশা তো দূর লাশ পাওয়া যাবে কিনা সেই নিয়ে চিন্তিত আত্মীয়রা। আর বোধহয় শেষ দেখা হলো না। স্বামীর জন্য মন কাঁদলেও সে কথা স্বামী জানতে পারছে? বারবার একই নম্বর ডায়েল ততোবারই কোন উত্তর নেই। কেমন আছে স্বামী। আদৌ দেখা পাওয়া কি আর সম্ভব? আর কি ঘরে ফিরবে সে? এমনই একাধিক প্রশ্ন সারারাত জাগিয়ে রাখছে এই তিন যুবকের পরিবারকে। আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে তাদের মাথায়।

Byte0;24-0:31 mohila

পেটের দায় ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন তারা। ভিন রাজ্যে গিয়ে দু পয়সা বেশি পাওয়া যাবে তা দিয়ে দুদিন ভালো খাওয়া যাবে এই ভাবনা নিয়েই বেরিয়েছিলেন বীরভূমের পাইকার থানার অনপুর গ্রামের তিন যুবক। তারা জানত কষ্ট কাকে বলে, তারা জানত পরিবার ছেড়ে থাকা কাকে বলে, তারা জানত দীর্ঘদিন পর পরিবার কাছে ফিরে আসতে কেমন লাগে ।তবে তারা বোধ হয় জানতো না জীবন বড় আকস্মিক। একেবারে মৃত্যুর মুখে কনপুর গ্রামের তিন শ্রমিক সানাউল শেখ রফিকুল শেখ শান্ত শেখ। করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এদিন তারাও ছিলেন রেলগাড়ীর কামরায়।

তবে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তিনদিন অতিক্রান্ত আজও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। খোঁজ মেলে নি তাদের লাশের।

Byte0;00-0:43lok

 

ঘরের ছেলেকে খুঁজে আনতে ইতিমধ্যেই বালেশ্বর পৌঁছেছে বাড়ির লোকেরা। শত শত লাশের মাঝে খোঁজা চলছে তাদের প্রিয়জনের লাশ।চোখে জল তবু মনে শেষ আশা রয়েছে যে ঘরে ফিরবেই ছেলে।

অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে এত বড় গ্রাম ছেড়ে ভিন্ন রাজ্যে চাকরির জন্য কেন যেতে হচ্ছে গ্রামের যুবকদের? কেন নিজের গ্রাম ছেড়ে তাদের যেতে হবে অন্য রাজ্যে?

Byte:0;46-1:05

তবে এখন সবকিছুর মাঝে সবচেয়ে বড় কথা তাদেরকে খুঁজে পাওয়া। তাদের পরিবার অপেক্ষা করছে এখানে. । ঘরের ছেলে ফিরবে ঘরে।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *