প্রধানের আত্মীয়কে দিতেই হবে ই টেন্ডার
রাজি না হওয়াতে পঞ্চায়েত সচিবের উপর চড়াও পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী এবং দাদা।
ঘর বন্ধ করে কিল ঘুসি
চাপ দিয়ে সই করানোর চেষ্টা
ভয়ের চোটে পঞ্চায়েত যাচ্ছেন না তৃণমূল কর্মীরা
শাসক দলের নিপীড়নে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।
পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয়কে পাইয়ে দিতেই হবে ই টেন্ডার এই ছিল দাবি ।বারংবার পঞ্চায়েত সচিবকে সে কথা বললেও রাজি না হওয়াতে শুরু হয় বচসা। দরজা বন্ধ করে মারা শুরু হয় পঞ্চায়েত সচিবকে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী এবং তার দাদা বেধরক মারেন পঞ্চায়েতের এই কর্মীকে। কথার অন্যতায় খুনের হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয় তাকে। দক্ষিণ ২৪ পরগুনার কুলপি ব্লকের ঢোলাই ঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে এলাকায়।
byte
জানা যায়, ঘটনায় আহত মোহাম্মদ সাজা মল। তিনি জানান এই ঘটনার পর থেকে পঞ্চায়েতে যেতেও রীতিমতো ভয়ে ধরে গেছে তার মনে। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং মোহাম্মদ শাজামলের
অভিযোগের ভিত্তিতে ঢোলাহাট থানায় বিডিওর তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে তাতেও কোন লাভ হয়নি। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী হোসেন কয়াল ও তাঁর দাদা আবুল কালাম কয়ালকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তাই আবার বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমেছে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত কর্মচারী সমিতি।
কুলপি বিডিও অফিসে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন তারা। বিডিও সৌরভ গুপ্তকে ডেপুটেশন জমা দেন নেতৃত্ব। অভিযুক্তরা দ্রুত গ্রেফতার না হলে আগামী দিনে ব্লকের সব পঞ্চায়েতের কর্মচারীরা কর্মবিরতি করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারী নেতৃত্ব।
Byte
পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত কর্মচারী সমিতি সমূহের যৌথ কমিটির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ রায় বলেন,‘ এই ঘটনা নিন্দনীয়। রাজ্য সরকারের নিয়ম মেনে কর্মচারী কাজ করতে চাইছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ হবে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী হোসেন কয়াল ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন,‘ এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। প্রধান আমার স্ত্রী। আমি কেন পঞ্চায়েত যাব।
Byte
।’ তবে কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার পঞ্চায়েতে গণ্ডগোলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। যোগরঞ্জন হালদার বলেন,‘ ওই পঞ্চায়েত কর্মী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। সেই ঘটনা নিয়ে একটা মারপিট হয়েছে বলে শুনেছি। দু’পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।’
Leave a Reply