কোন লাইব্রেরি
না কোন বিলাসিতা
না কোন বাড়তি প্রস্তুতি।
পশ্চিমবঙ্গের মেধা তালিকায় না থেকেও নজির গড়ল
সুন্দরবনের সুমনা।
তার জীবন দেখে চোখে জল আসবে আপনারও।
উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করে কৃতি ছাত্র ছাত্রী হয়েছে অনেকেই। তবে পরিস্থিতির সাথে লড়ে, যাবতীয় প্রতিকূলতাকে কে পিছনে ফেলে এগিয়ে এসে লড়াইয়ে জিতেছে খুব কমই। সন্দেশখালির সুমনা তাদের মধ্যে একজন।
সুন্দরবন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে এই এলাকার জনপ্রিয় হলেও বিস্তর প্রতিকূলতার রয়েছে এখানে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে না আছে এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা, নাচে বিলাসবহুল জীবন বাঁচার কোন সুযোগ। এই এলাকার সাক্ষরতার হার অনেকাংশে কম। এমনকি কিছু কিছু স্থানে নেই লাইব্রেরী পর্যন্ত ।তেমনি এক প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে সুমনা। উচ্চ। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় হয়তো সে স্থান না পাইনি।তবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকার সন্দেশখালীর মেয়ে সুমনা মাইতি নজির গড়েছে।একাধিক প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯২.৫ শতাংশ নাম্বার পেয়ে এলাকায় রীতিমতো সাড়া ফেলল সুমনা।
Byts
তবে দুর্দান্ত ফলাফল করা সুমনার জীবন যাপন শুনলে অবাক হবেন আপনি.। ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে বসবাস করে সে এবং তার বাবা-মা বাবা রত্নাকর মাইতি রাজবাড়ি বাজারে ছোট্ট একটি মুড়ি ঘুগনির দোকান চালায়। সেই উপার্জন দিয়েই চলে সুমনা এবং তার বোনের পড়াশোনা। বাবা-মার সেই কষ্ট বুঝেছে সুমনা। তাই নিজের ক্ষমতায় নিজের প্রতিভার জোরে এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে আগারহাটি গৌরহরি বিদ্যাপীঠ (উঃ মাঃ) বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল সুমনা। সুমনার প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৩। যার মধ্যে ইংরেজিতে ৯৫, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৫, ইতিহাস ও ভূগোল দুটি বিষয়েই ৯৩ করে নম্বর তুলেছে।
তবে শুধু সুমনা নয় সোমানার মত আরও একাধিক মেয়ে আজ ওই স্বপ্ন দেখতে ভয় পায় সুমনা তাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে
Leave a Reply