হঠাৎ ঘরের ভেতর বিকট গন্ধ।
বিকট গন্ধে শান্তিতে ঘুমোন দায়।
উৎস খুঁজতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ।
এক গর্ত
গর্তেই লুকিয়ে রহস্য।
দপ করে ধরে গেল আগুন
ঘরের ভেতরেই দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন।
কি করে হল!
কি ছিল সেই গর্তে?
ঘরে নিভৃতে ঘুমোচ্ছিলেন বাড়ির মালিক। দিনশেষে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। সারাদিন খাটা খাটনির পর নিশ্চিত ঘুম। হঠাৎ-ই তীব্র গন্ধে ঘুম ভাঙলো গৃহকর্তার
বেশ অনেকক্ষণ ধরে বিকট গন্ধে ঘুমানো হয়েছিল দুষ্কর।
কোথা থেকে আসছে গন্ধ? কোন দিক থেকে ? অদ্ভুত বিকট গন্ধ। মাঝরাতে ঘুম চোখে দীর্ঘক্ষণ ধরে উৎস খুঁজছিলেন গৃহকর্তা। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজার পর অবশেষে জানা গেল আসল রহস্য ।সন্ধান খুঁজে রীতিমতো চক্ষু চরক গাছ ভাটপাড়ার বাসিন্দা বাবলু মুখার্জির। কৌতুহল শেষ করতে গিয়েই জীবন বিপন্ন নিজের!
পরীক্ষা করতে গিয়ে দেশলাই ধরতেই ঘর জুড়ে আগুন। বালতি বালতি জল ঢেলেও সেই আগুনের শিখায় নিভাতে হিমশিম । ভুতুড়ে এই ঘটনার জেরে আতঙ্কের প্রহর কাটলেন ভাটপাড়া পুরসভার অবন্তিপুর শালবাগান এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শালবাগান এলাকার বাসিন্দা বাবলু মুখার্জির বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তীব্র গন্ধে ঘুম ভেঙে যায়। এরপরই উৎস সন্ধানে ঘরের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে খুঁজতেই একটি গর্ত চোখে পড়ে তার। তার কাছ থেকে জানা যায় যত গর্তের দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি ততই বাড়ছিল গন্ধের তীব্রতা। গর্তের কাছে যেতেই দেখা যায় গভীর অন্ধকার। পরীক্ষা করার জন্য দিশলাই কাঠি জ্বালাতেই আগুন ধরে যায় ওই গর্তে। সেই আগুন দীর্ঘ পায় দু’ঘণ্টার মতো জ্বলতে থাকে। বালতি বালতি জল তবুও নেভেনা আগুন! ঘরময় আগুন নেভাতে অবশেষে বালি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন বাবলু বাবু। জানা যায় এরপরই দমকলকে খবর দেয়া হয়।
কিন্তু কোনরকম দাহ্য পদার্থ ছাড়া কিভাবে ধরল আগুন তাই অবাক করছে তাদের।
এই বিষয় স্থানীয় লোকেরা জানান, ওই জমিতে বাড়িটি তৈরি হওয়ার আগে টিউবওয়েল ছিল। যা বন্ধ করে বাড়িটি তৈরি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। আর বন্ধ করা সেই টিউবওয়েলের গর্ত থেকেই এখন বেরিয়ে আসছে গ্যাস অনুমান স্থানীয়দের। তবে দমকলের তরফ থেকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং বলা হয়েছে বিশেষজ্ঞ দল আসবে এই গ্যাস পরীক্ষা করতে।
Leave a Reply