পেশায় টোটো চালক
পেশা বলতে টোটো চালানো
সেই টোটোকেই ব্যবহার সমাজ সেবার জন্য
বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দিচ্ছেন এই টোটো চালক।
মধ্যরাত হোক কিংবা সাত সকাল
পৌঁছে যাচ্ছেন মুমূর্ষু রোগী বাড়ি, ।
বিনা অর্থের দাবিতেই পৌঁছে দিচ্ছেন হাসপাতালে
এ দায়িত্ব যেন তিনি নিজেই তুলে নিয়েছেন নিজো কাঁধে,
চেনেন এমন সমাজ সেবক কে?
গোটা রাজ্যে ,সরকারের তরফ থেকে শুরু করা হয়েছে বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের সুবিধার কথা ভেবেই সেই অ্যাম্বুলেন্স গুলি পরিষেবা দিয়ে চলেছে গোটা রাজ্যব্যাপী তবে তার মাঝেও কখনো কখনো অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিয়ে বিভ্রাটের খবর এসছে সামনে। তবে অ্যাম্বুলেন্সের তথাকথিত যে চেহারা আমাদের চোখে বসানো তার থেকে এই অ্যাম্বুলেন্স দেখতে একেবারেই আলাদা, চার চাকার বদলে রয়েছে তিন চাকা। এই গাড়ি চলে ব্যাটারিতে । টোটো কেই অ্যাম্বুলেন্সের রূপ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিষেবা দিচ্ছেন জিতেন চৌধুরী।
মালদহ শহর সংলগ্ন বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জিতেন চৌধুরী। পেশায় টোটো চালক। তবে জিতেন কোন মামুলি আদমি নয়। তার সীমিত পুঁজি থাকলেও রয়েছে বিরাট হৃদয় । ছোটবেলা থেকে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে এবং পরিবারের একমাত্র রোজগারের মাথা হলেও তার মন সবসময় সমাজ সেবার পক্ষে ছিল। তাই রাত দিন কঠোর পরিশ্রম করে টোটো চালাবার পরও দিন শেষে সে অ্যাম্বুলেন্স চালক। তার অ্যাম্বুলেন্সের বিশেষ কিছু সুবিধা হয়েছে যেমন এই অ্যাম্বুলেন্স ছোট হওয়ায় যে কোন সরু গলি দিয়ে অনায়াসে ঢুকে যেতে পারে এই অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়াও কোনরকম অর্থ ব্যয় না করে পৌঁছানো যায় হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার লোকেদের সে এইরমই পরিষেবা দিয়ে আসছে। তাই। বেশি সময় লাগেনি তার শুধু জিতেন থেকে অ্যাম্বুলেন্স যিতেন হয়ে উঠতে।
এখন তোর গাড়ির সামনে জরুরী কালীন ফোন নম্বর হিসেবে রয়েছে তার নম্বর যেখানে এক ফোন করলেই হাজির হয় জিতেন। তবে ভবিষ্যতে সত্যিকারের অ্যাম্বুলেন্স কেনার ইচ্ছে রয়েছে তার যা দিয়ে সত্যি সত্যি সে পৌঁছে যাবে মানুষের কাছে পরিষেবা দেওয়ার জন্য । সত্যি একেবারে মনে দাগ কাটার মত গল্প ।
তার এই চেষ্টাকে কুর্নিশ জানাই বাংলাহান্ট।
Leave a Reply