উদ্ধার কালীঘাটের কাকুর রহস্যময় একটি কালো ডায়েরি! কি আছে কালো ডায়েরিতে? মুখ খুললেন ইডি!
আরও বড় বিপদে ‘কালীঘাটের কাকু’!
উদ্ধার রহস্যময় একটি কালো ডায়েরি!
পাতায় পাতায় লুকিয়ে দুর্নীতির গন্ধ
সাঙ্কেতিক ভাষায় লেখা বেশ কিছু নাম!
উঠে এল এক যুবকের হদিশ!
তদন্তে টান টান উত্তেজনা!
ঘুরছে নিয়োগ দুর্নীতির মোড়!
কি আছে কালো ডায়েরিতে?
মুখ খুললেন ইডি!
নিয়োগ দুর্নীতিতে চাঞ্চল্যকর নয়া মোড়! এবার ইডির হাতে উঠে এলো কালো রঙের ডায়েরি। যে ডায়েরিকে কেন্দ্র করে ক্রমশ জটিল হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক। বাড়ছে রহস্য। এই ডায়েরির হাত ধরেই হয়ত খুলে যাবে নিয়োগ দুর্নীতির অন্য কোনও অধ্যায়, অনুমান তদন্তকারীদের। খুঁজে পাওয়া এই কালো ডায়েরিটির মালিক নিয়োগ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত কালী ঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, দাবি করছেন তদন্ত আধিকারিকেরা। ডায়েরিটি উদ্ধার করা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির কাছ থেকে।
সুজয়কৃষ্ণের কালো ডায়েরির হাত ধরেই ইডির হাতে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজার থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা তোলা হয়। সেই টাকাই পরবর্তীতে হাওয়ালার মাধ্যমে হাতবদলও হয়। সেই সমস্ত কালো টাকার অনেক হিসেব লুকিয়ে রয়েছে এই কালো ডায়েরিতে। ডায়েরিটির অনেকগুলো পাতায় সাঙ্কেকিত ভাষায় কিছু কিছু ব্যক্তির নামও রয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, সুজয়কৃষ্ণের ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই, বেরিয়ে আসতে এদের বিস্তারিত পরিচয়। এই ডায়েরি থেকে বিভিন্ন নথিও উঠে এসেছে ইডির হাতে। সেখান থেকেই তাদের অনুমান, ২০১৮ সালের পর নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে সোজা পাড়ি দেয় বিদেশের বিভিন্ন সংস্থায়। পরে ঐ সংস্থাগুলোর কাছ থেকেই সেই টাকা পুনরায় ঋণ নিয়ে নিতেন সুজয় কৃষ্ণ। এরপর সেই টাকা বিনিয়োগ করা হত বিভিন্ন সংস্থায়। ইডির দাবি, ঠিক এভাবেই হাওয়ালার মাধ্যমে কালো টাকা বিদেশে পাচার হত, এরপর সেই টাকা সাদা হয়ে পুনরায় ফিরে আসত। এই সম্পূর্ণ কাজটিতে যুক্ত রয়েছে এক যুব নেতা। তাকে পলাতক ঘোষণা করেছে ইডি আধিকারিকেরা।
এই কালো ডায়েরিকেই গুপ্ত ধনের চাবিকাঠি বলে মনে করছেন তদন্ত আধিকারিকেরা। খুব শীঘ্রই ইডির চার্জশিটে এই ডায়েরিটিকে যুক্ত করে আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
Leave a Reply